আমরা বাঙালি। জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত। কারণ, আমাদের রয়েছে সুদীর্ঘ ৪ হাজার বছরের পুরোনো ঐতিহ্য আর সংস্কার। বাঙালি হিসেবে এই বাংলাদেশের কতটুকু জানি আমরা? অনেকেই হয়তো বেশি জানি কিন্তু সবকিছু জানি এটা বুক ফুলিয়ে কতজন বলতে পারবেন? উনবিংশ শতক থেকে বাঙালিরা শিল্প-সংস্কৃতিতে বিশেষ কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছে। এইসময় বিভিন্ন বাঙালি লেখক, নাট্যকার, সুরকার, চিত্রকর এবং চলচ্চিত্রকাররা তৎকালীন ভারতবর্ষে শিল্প ও কলাচর্চার উন্মেষ ও বিকাশে মুখ্য ভূমিকা রাখেন। এমনকি প্রথম বাঙালি হিসেবে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পুরষ্কার অর্জন বাঙালি জাতির ইতিহাসে অন্যতম মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত। বাঙালি জাতি হলো বঙ্গদেশ অর্থাৎ ভারতীয় উপমহাদেশের অধুনা বাংলাদেশ ও ভারতের কিয়দংশে বিভাজিত সুবিশাল অঞ্চলে বসবাসকারী মানব সম্প্রদায়- যাদের ইতিহাস অন্তত ৪ হাজার বছরের পুরোনো। বাঙালির অন্যতম ভাষা বাংলা। এই ভাষা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর পূর্ব-ইন্দো-আর্য বিভাগের অন্তর্গত একটি ভাষা। এজন্য বাংলা বা বাঙালিরা নৃতাত্বিকভাবে ওড়িয়া, আসামী, বিহারী ও অন্যান্য পূর্বভারতীয় ভাষাভাষী গোষ্ঠীর বেশ কাছাকাছি আত্মীয়স্বরূপ। এর ফলে বাঙালি জাতি বৈচিত্র্যপূর্ণ ও স্থানভেদে ভিন্নতার অধিকারী। স্বাধীন বাংলাদেশে এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে বাঙালিরা বেশি বসবাস করলেও সারা পৃথিবীতেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এই জাতির মানুষ। বাংলা ভাষাকে বেশ কয়েকবছর আগে থেকেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার মর্যাদা দেয়া হয়েছে।
জালাল আহমেদ জন্ম ১৯৮৫ সালের ২১ জানুয়ারি, নরসিংদী জেলার আখালিয়া গ্রামে। বাবা মো. লেহাজুদ্দীন, মা ফিরোজা বেগম। কবি জালাল আহমেদ বাবা-মায়ের সাত সন্তানের মধ্যে বস্তানের ৫ম। তিনি বাংলাদেশে পড়াশুনার পর্ব শেষ করে ২০০২ সালে সৌদি আরবে চলে যান। সেই থেকে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। জালাল আহমেদের ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির প্রতি ছিল যথেষ্ট ঝোঁক। স্কুল-কলেজের বিভিন্ন ম্যাগাজিনে নিয়মিত লিখতেন। প্রবাস জীবনে কাজের ফাঁকে ফাঁকে অলস সময় কাটাতে তিনি হাতে তুলে নেন কাগজ আর কলম। শুরু হয় কবিতা আর গান লেখালেখি। দীর্ঘ প্রায় এক যুগ সময়ে তিনি রচনা করেছেন অজস্র কবিতা ও গান। এ থেকে নির্বাচিত কিছু কবিতা ও গান নিয়ে প্রকাশিত হলো জালাল আহমেদের তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ শাদা স্বপ্ন। আশারাখী কবিতাগুলো পাঠকহৃদয়ে নাড়া দেবে। -প্রকাশক