আমাদের দেশে জলাতঙ্ক রোগ বা রেবিস হয় সাধারণত পাগলা কুকুর বা কখনো-সখনো বিড়াল বা জীবজন্তুর কামড় থেকে। রোগটি হলে মৃত্যু হবেই। এখনো এ রোগের কোনো ওষুধ বের হয়নি। কিন্তু কুকুরে কামড়াবার পর যদি ঠিকমতো প্রাথমিক চিকিৎসা, টিকা ও ইমিউনোগ্লোবিউলিন নেওয়া হয়, তাহলে এই রোগকে একশো শতাংশ প্রতিরোধ করা যায়।
রেবিস সারা ভারতে একটি বড় ধরনের জনস্বাস্থ্য সমস্যা। অথচ রোগটা সম্পর্কে সঠিক ধারণা অনেকেরই নেই। অনেক ভুল ধারণা, কুসংস্কার জড়িয়ে রয়েছে রোগটিকে ঘিরে। এ নিয়ে বাংলা ভাষায় সম্ভবত কোনো বই এর আগে প্রকাশিত হয়নি।
সে অভাব মেটাতেই বইটি লেখা। এর তিনটি অংশ। এক অংশে রোগটি নিয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক আলোচনা। দ্বিতীয় অংশটি প্রশ্নোত্তর পর্ব। তৃতীয় অংশে রয়েছে কতকগুলি পোস্টার বা স্লাইড যা থেকে সিডি-ও করা যায় এবং প্রচার করা যায়। এই অংশটি মূলত 'অ্যাসোসিয়েশন অফ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল অফ রেবিস ইন ইন্ডিয়া' নামক সংস্থার যে প্রচার উদ্যোগ সর্বসাধারণের জন্য তাই তুলে ধরা হয়েছে। এই জন্য সংস্থাটিকে কৃতজ্ঞতা জানাই।
স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসার সঙ্গে রেবিস প্রতিরোধ সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলা জরুরি। সমাজের সব ধরনের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে রেবিস মুক্ত অঞ্চল গড়ে তুলতে।
ডা. শান্তিরঞ্জন বাগচি, সুপারিনটেনডেন্ট, আই.ডি. অ্যান্ড বি.জি. হাসপাতাল, কলকাতা, ওই হাসপাতালের জলাতঙ্ক রোগের তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছেন। তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।