তাফহীমুল কুরআন - ১ম খণ্ড,
তাফহীমুল কুরআন - ২য় খণ্ড,
তাফহীমুল কুরআন - ৩য় খণ্ড,
তাফহীমুল কুরআন - ৪র্থ খণ্ড,
তাফহীমুল কুরআন - ৫ম খণ্ড,
তাফহীমুল কুরআন - ৬ষ্ঠ খণ্ড,
তাফহীমুল কুরআন - ৭ম খণ্ড,
তাফহীমুল কুরআন - ৮ম খণ্ড,
তাফহীমুল কুরআন - ৯ম খণ্ড,
তাফহীমুল কুরআন - ১০ম খণ্ড,
তাফহীমুল কুরআন - ১১তম খণ্ড,
তাফহীমুল কুরআন - ১২তম খণ্ড,
তাফহীমুল কুরআন - ১৩ম খণ্ড,
তাফহীমুল কুরআন - ১৪তম খণ্ড,
তাফহীমুল কুরআন - ১৫তম খণ্ড,
তাফহীমুল কুরআন - ১৬তম খণ্ড,
তাফহীমুল কুরআন - ১৭তম খণ্ড,
তাফহীমুল কুরআন - ১৮তম খণ্ড,
তাফহীমুল কুরআন - ১৯তম খণ্ড,
‘তাফহীমুল কুরআন ১৯তম খণ্ড' বইটিতে লেখা আমাদের কথা : কুরআন মজিদ বুঝার জন্যে তাফসীরের সাহায্য নেয়া অত্যাবশ্যক। এ কারণেই সেই প্রাচীন কাল থেকে আধুনিক কাল পর্যন্ত লেখা হয়েছে আল কুরআনের অসংখ্য তাফসীর। আধুনিক কালে ইসলামী পুনর্জাগরণের নকীব আল ইমাম আল উস্তায সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদুদী রহ.-এর অমর অবদান তাফসীর তাফহীমুল কুরআন। কুরআন মজিদ বুঝার জন্যে এটি একটি বাস্তবধর্মী সহজ তাফসীর! এই অনবদ্য তাফসীর গ্রন্থের শুরুতে তিনি একটি অসাধারণ ভূমিকা লিখেছেন। কুরআনের মর্ম উপলব্ধির ক্ষেত্রে এটি একটি আলোক বর্তিকা। সূরার শুরুতে প্রতিটি সূরার বিষয়বস্তু সংক্রান্ত ভূমিকা প্রদান করে তিনি সূরার মধ্যে প্রবেশ করার পূর্বেই পাঠককে সূরাটি সম্পর্কে মৌলিক ধারণা লাভ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। তারপর রেওয়ায়াত ও দেরায়াতের নিরিখে আয়াতসমূহের যুগোপযোগী তাফসীর করে পাঠকগণের জন্যে কুরআনের মর্মবাণী বুঝার দুয়ার খুলে দিয়েছেন। অপরদিকে তিনি কুরআনুল হাকিমের তাত্ত্বিক ও আইনগত আয়াতসমূহের এমন অকাট্য দলিল ও যুক্তি ভিত্তিক তাফসীর করেছেন, যা তাফসীর শাস্ত্রের ইতিহাসে অসাধারণ। ব্যাখার ক্ষেত্রে তিনি একদিকে যেমন অতীতের মশহুর ও মকবুল মুফাসসিরগণকে অনুসরণ করেছেন, অপরদিকে আধুনিক কালের মননশীলতাকে প্রভাবিত করার মতো যুক্তি প্রমাণকেও ধারণা করেছেন।
এ তাফসীর গ্রন্থটি বিশেষ ও নির্বিশেষ সকল পাঠকের হৃদয়ে কুরআনের প্রতি কৌতুহল সৃষ্টিকারী এক অনন্য তাফসীর। এ গ্রন্থটি তার পাঠকগণের হৃদয়-মনকে কুরআনের শিক্ষা, মর্মবাণী ও হিদায়াতের অনুসরণে উদ্বুদ্ধকারী এক মর্মস্পর্শী তাফসীর। এ তাফসীর তার পাঠকগণের অন্তরে আল্লাহর বাণী বুঝার, আল্লাহর হুকুম মেনে চলার এবং আল্লাহ প্রদত্ত জীবনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় আত্মনিয়োগ করার দুর্বার প্রেরণা জাগিয়ে তোলে।
উর্দু ভাষায় লেখা এ খ্যাতনামা তাফসীর গ্রন্থটি বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত ও প্রকাশিত হয়েছে। ঢাকাস্থ সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদূদী রিসার্চ একাডেমী তাফসীর গ্রন্থটি বাংলা ভাষায় অনুবাদ করে প্রকাশ করার ব্যবস্থা করেছে। আলহামদুলিল্লাহ এ গ্রন্থটির পাঠক চাহিদা খুবই ব্যাপক উর্দু ভাষায় ছয় খণ্ডের গ্রন্থটি বাংলা ভাষায় ঊনিশ খণ্ডে প্রকাশ করা হয়েছে। অবশ্য ছয় জিলদেও প্রকাশ হয়েছে। পূর্বে সাধু বাংলায় অনূদিত হওয়ায় সহজ সরল ভাষায় সাধারণ পাঠকদের উপযোগী করে তাফহীমুল কুরআনের অনুবাদ করার দাবি চলে আসছিল। বহু চেষ্টা সাধনার পর সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদূদী রিসার্চ একাডেমী সে উদ্যোগ গ্রহণ করে। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সালের মধ্যে নতুন অনুবাদ কাজ সম্পন্ন করা হয়। সে সময় একাডেমীতে কর্মরত রিসার্চ স্কলার মাওলানা আবদুল মান্নান তালিব ও অধ্যাপক মাওলানা মোজাম্মেল হক অত্যন্ত নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে এ অনুবাদ কাজ করেন। অনুবাদ সম্পন্ন হওয়ার পর একাডেমীর তৎকালীন চেয়ারম্যান বহু ভাষাবিদ ও শিক্ষাবিদ মরহুম আব্বাস আলী খান এবং হাফেজ আকরাম ফারূক সমগ্র অনুবাদ কর্মটি সম্পাদনা করেন।
একাডেমীর সাথে চুক্তির মাধ্যমে আধুনিক প্রকাশনী তাফহীমুল কুরআন প্রকাশ করে আসছে। অনুবাদ সম্পাদনা হওয়ার পর নতুন কম্পোজ করে প্রকাশ করতে গিয়ে কোথাও কোথাও কিছু বিচ্যুতি ঘটে। সময় পরিক্রমায় সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদূদী রিসার্চ একাডেমী কর্তৃপক্ষ তাফহীমুল কুরআনের অনুবাদকে নতুন করে সম্পাদনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সে প্রেক্ষিতে তাফহীমুল কুরআনের অনুবাদ নতুন করে সম্পাদিত হলো। এবার আমাদের তত্ত্বাবধানে সম্পাদনা করেছেন মাওলানা মুহাম্মদ মূসা।
আশা করি বিদগ্ধ পাঠকগণ বঙ্গানুবাদ পড়ে মূল তাফহীম পড়ার মতােই উপলব্ধি করবেন। তাফহীমের নতুন অনুবাদ ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করায় কালামেপাক নাযিলকারী আল্লাহ রাব্দুল আলামীনের লাখ লাখ শুকরিয়া আদায় করছি এবং তাঁর দরবারে দোয়া করি তিনি যেনো এ অনুবাদের মাধ্যমে সঠিকভাবে কুরআনের মর্ম অনুধাবন করতে পাঠকবর্গকে সাহায্য করেন।
আমীন।
আবদুস শহীদ নাসিম পরিচালক।
সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদূদী রিসার্চ একাডেমী