"তৃতীয় পুুরুষ" বইয়ের পেছনের কভারে লেখা:জগতের অন্যায়ের দিকগুলােই অন্ধকারের আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে। এই অন্ধকার জগতের দৈত্যদের তাড়নায় মানবকুল মাঝে মধ্যেই বিপদসঙ্কুল পরিবেশে পড়ে যায়। এরূপ এমন এক অন্ধকার জগতের এক নায়কের জীবন কাহিনীর শুরু আর বিস্ময়কর উত্থানের ইতিবৃত্ত নিয়ে তৃতীয় পুরুষ। আবর্তিত হয়েছে। রূপসা পাড়ের এক ক্ষুদ্র বালক যার চৌর্যবৃত্তি দিয়ে জীবন শুরু হয়েছিল সে কিভাবে শতকোটি টাকার মালিক হয়ে পশ্চিমাঞ্চলকে দাপিয়ে বেড়িয়েছিল তারই আনুপূর্বক ঘটনার এক সুন্দর উপস্থাপনার মধ্যে এ তৃতীয় পুরুষ নামক উপন্যাসটি তার পরিপূর্ণতা লাভ করেছে। আমরা আমাদের সমাজের লাট ভাইদের পরিচয় পাব, পাব তাদের ফাক বুঝে কেটে পড়ার স্বভাবগুলাে। অর্থের প্রতিপত্তিতে কিভাবে রক্ষকদের মাথা বিক্রি হয়ে যায় আবার এ ঘনঘাের অমানিশার মাঝেও আলােকবর্তিকা হিসাব কোন উত্তম পুরুষের আবির্ভাব ঘটে, কিভাবে শত প্রতিকুলতার মাঝেও সত্য তার সঠিক মূল্যে দাঁড়িয়ে যায় তার এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে এ তৃতীয় পুরুষ উপন্যাসটি। পাঠককুল একবার যদি ঘটনার আবর্তে পড়ে যান। তবে এক নিঃশ্বাসে পাঠ করার আগ্রহ অবদমিত রতে পারবেন না বলে আমাদের বিশ্বাস। নৈতিকতা বিবর্জিত এ সমাজেও যে নীতিবােধের ধারা লুকিয়ে আছে, অন্ধকারও যে আলাের প্রতাপে। ফিকে হয়ে যায় তারই উৎকৃষ্ট উদাহরণ হলাে এ তৃতীয় পুরুষ। কল্যাণ চক্রবর্তী এমন একটা ঘটনার জন্ম দিয়েছেন যার মধ্যে তার নিজস্ব অভিজ্ঞতার ছাপ পরিস্ফুট হয়ে উঠেছে। আশারাখি পাঠককুল এ উপন্যাসটি পড়ে হাসি-কান্না-আনন্দ-বেদনার স্বাদ পাবেন।
কল্যাণ চক্রবর্তীর জন্ম আগস্ট ১২, ১৯৫৭বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার শিকারপুর। গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে। তিনি ১৯৭৮ (১৯৮১-তে অনুষ্ঠিত) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাব বিজ্ঞানে অনার্সসহ এম.কম পাশ করেন। তিনি ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ থেকে ব্যাংকিং-এর উপর ডিএআইবিবি ডিগ্রী লাভকরেন। তিনি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউ-নট্যান্টস অব বাংলাদেশের একজন এফসিএ। তিনি ক্ষুদ্রবীমার উপর সাভিসন্দর্ভ লিখে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন কবিতা লেখার সাথে সাথে কল্যাণ চক্রবর্তী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। বই পড়া ও বই লেখা তার নিয়মিত খেয়ালের একটি অংশ। রবীন্দ্র সংগীত এবং নজরুল সংগীত তাঁর খুব প্রিয়। জীবনানন্দ দাশ তার প্রিয় কবি। তিনি দুই সন্তানের জনক। তিনি বাংলা একাডেমির একজন জীবন সদস্য। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসাবে খ্যাত। বাংলাদেশ বুকক্লাব, মেজিক লণ্ঠন, অন্যধারা সাহিত্য সংসদেও তিনি জীবন সদস্য। এছাড়াও ঢাকা মহানগর পূজাকমিটি ও উজিরপুর উপজেলা অফিসার্স ফোরামের তিনি জীবন সদস্য। স্বাধীন বাংলা সংসদ কর্তৃক তাঁকে জেনারেল ওসমানী স্বর্ণপদক-২০১৪ প্রদান করা হয়েছে। তিনি অন্যধারা সাহিত্য সংসদ থেকে কবিতায় সম্মাননা পেয়েছেন। তাঁর এযাবৎ প্রকাশিত গ্রন্থ ২৬টি। অপ্রকাশিত গ্রন্থের পান্ডুলিপির সংখ্যা অনেক। তিনি চীন, হংকং, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভারত ভ্রমণ করেছেন। বাংলাদেশের প্রায় সকল জেলায় তিনি ভ্রমণ করেছেন এবং সকল জনপদই তাঁর চেনা।