রাত্রীর সাহকাহন উপন্যাসটি আবর্তিত হয়েছে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে রাত্রীকে নিয়ে। পাবনার চাটমোহর উপিজেলার স্কুল শিক্ষকের ছোট মেয়ে রাত্রী। ভালোবাসে উপজেলা চেয়ারম্যাে নর ছেলেকে। তাদের দুজনের ভালোবাসার কথা এককান দুইকান। করে পৌঁছে যায় চেয়ারম্যান সাহেবের কানে। চেয়ারম্যান সাহেব কোন ভাবেই স্কুল মাস্টারের মেয়ে রাত্রীকে তার একমাত্র ছেলের ভালোবাসার মানুষ হিসাবে মেনে নিতে পারে না। এই সংবাদ রাত্রীর স্কুল শিক্ষক বাবাও জানতে পারে। রাত্রীর বাবার খবরে ঢাকায় থাকা রাত্রীর বড় বোন রেনু পরিবারসহ চাটমোহরে যেয়ে রাত্রীকে তাদের সাথে ঢাকায় নিয়ে আসে। রাত্রীকে অনেক বুঝিয়ে রেনু তারই অফিসের কলিগ গাফফার সাহেবের ছেলে সাথে বিয়ে দেয়। রাত্রীও এই বিয়েতে অমত করে না। কারণ চেয়ারম্যান চাচা তার বাবাকে। অনেক অপমান করেছে। রাত্রীর বাবা সেই অপমান সহ্য করতে না পেরে তার বড় বোন রেনু ও ফুল ভাই জয়নাল সাহেবের সামনে। অঝড় ধারায় কেদেছে। রাত্রী তার বুকে তার ভালোবাসা চাপা দিয়ে বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে বিয়ে করে। ভালোই চলছিলো তার সংসার জীবন। কিন্তু রাত্রী যখন সন্তান সম্ভবা, ঠিক সেই সময় রাত্রীর স্বামী এলাকার রাজনৈতিক নেতা সেন্টুর চক্রান্তের শিকারে পরিনত হয়। খুনের মামলার আসামী হয়ে সে বাড়ি থেকে নিকোজ হয়ে যায়। দীর্ঘদিনেও রাত্রী তার স্বামীর সন্ধান পায় না। রাত্রী তার শশুরবাড়ি ছেড়ে তার সন্তান রিহাসহ চলে আসে তার বড় বোন রেনুর বাসায়। রেনুর স্বামী জয়নাল সাহেব রাত্রীকে একটি চাকরীর • ব্যবস্থা করে দেয়। সময়ের আবর্তে রাত্রীর জীবনে ফিরে আসে তার প্রথম ভালোবাসা। সে রাত্রীকে আপন করে পেতে চায়।