দিদিমার সঙ্গে তার সংগ্রামমুখর ভালোবাসার এ উপাখ্যানেই থেমে যায়নি ‘ইশকুল অব লাভ’ এর প্লট। গল্পের ছুঁতোয় উঠে এসেছে বৃটিশশাসিত কলকতার বাম রাজনীতি, কোনঠাসা ইসলামি ঐতিহ্য, খ্রিস্টান মিশনারির প্রকোপ আর লেন্দুপ দর্জির অভাগা সিকিমের ভাগ্যহত হওয়ার বেদনানীল গল্প। ইতিহাসের এই শিক্ষাগুলো আমাদের বাংলাদেশি মুসলমানদের জন্যে খুব বেশি প্রাসঙ্গিক। হয়তো আমাদের সচেতনতা থামিয়ে দেবে নতুন আরেকটি সিকিম তৈরির কালো তোড়জোড়। গল্পের শেষ দৃশ্যে এসে আপনিও অনুভব করবেন, দিদিমার মতো আমরা প্রত্যেকেই বুঝি আমাদের ভুবনে একা। ভীষণ একা।
হায়! চোখের কোণে দু’ ফোঁটা অশ্রুই বুঝি আমাদের সবার জীবনের অন্তিম দৃশ্য।
গল্পকার আতীক উল্লাহ ভাইয়ের সার্থকতা এখানেই। দুটি প্রেমিক অন্তরের জীবনগল্পের ভেতর দিয়ে তিনি ফুটিয়ে তোলেন ইতিহাসের কিছু নাবলা কষ্টের কথা। কখনো ইতিহাসের পেছনে হারিয়ে যায় জীবনগল্প। একটু বাদেই ইতিহাসের সেই অমসৃণ মেঠো পথ ধরেই আবার উঠে আসে দু’টি প্রেমিক হৃদয়ের ঢেকিছাটা আবেগের প্রমত্তা ঢেউ।