‘ভ্যালেন্টাইনের কৃষ্ণশিকল’ উপন্যাসটি হচ্ছে ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’র গল্প। ভ্যালেন্টাইনস ডে' উপলক্ষ্যে লাবিব ও তৃপ্তির শারীরিক তাড়নাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার কাহিনী এটি। বান্দরবানের পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ‘সাইরু হিল রিসাের্টে বিবাহপূর্ব প্রথম শারীরিক সম্পর্ক হয় ওদের। তারপর ঢাকায় ফিরে তৃপ্তির বান্ধবী শান্তির বাসায় চলে ওদের রুম ডেট। এসব ঘটনার সমান্তরালে শান্তিও লাবিবের প্রতি আকৃষ্ট হয়। ওর সাথে অবৈধ শারীরিক মিলনের জন্য পাগল হয়ে ওঠে শান্তি। বান্দরবান ভ্রমণের ব্যবস্থা করার জন্য তৃপ্তি শান্তিকে ‘ভ্যালেন্টাইন ট্রিট’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাে। শান্তি তৃপ্তির কাছে ‘ভ্যালেন্টাইন ট্রিট’ হিসেবে একদিনের জন্য লাবিবকে বয়ফ্রেন্ড হিসেবে চায়। অবশ্য সেটা ছিলাে শুধু গাড়িতে করে সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানাের জন্য। কিন্তু লাবিবকে নিয়ে নিজের বাসায় ফিরে এসে ‘সাইরু হিল রিসাের্ট’ ও নিজের বাসার গেস্টরুমের সামনের সিসিটিভি ফুটেজকে ভিত্তি করে লাবিব ও তৃপ্তির রুম ডেটের প্রমাণ ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে শান্তি লাবিবকে ব্ল্যাকমেইল করে। লাবিব বাধ্য হয় তৃপ্তির অজান্তে শান্তি ও তার বান্ধবী স্নেহার সাথে যৌনসঙ্গম করতে। কিন্তু এরপরও ছাড়া পায় না লাবিব। বারবার এই পাপ করার জন্য শান্তি ওকে চাপ দেয়। ভয়াবহ একটা কৃষ্ণশিকলে আটকা পড়ে অনিশ্চিত পরিণতির ভয়ে ছটফট করতে থাকে লাবিব।
কথাসাহিত্যিক ও কবি শরীফ আহমেদ-এর জন্ম ১৬ জানুয়ারি ১৯৮৩ সালে কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানায়। বর্তমানে ঢাকার পল্লবীতে থাকেন। স্কুলে পড়ার সময় ১৯৯৬ সাল থেকে কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধ লেখা শুরু করেন। পেশাগত জীবনে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ও ব্যবসায়ী। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ও স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অতিরিক্ত কোর্সসহ জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এমএসসি ডিগ্রিপ্রাপ্ত বিশিষজ্ঞ জিওটেকনিক্যাল ও স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালট্যান্ট। শরীফ আহমেদ বর্তমানে বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ডিপার্টমেন্টের জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশনে পিএইচডি গবেষক হিসেবে অধ্যয়নরত। তিনি বাংলাদেশের প্রথম সারির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি স্ট্রেইন ফিল্ড জিওটেকনিকস লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান। ২০০৬ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর কর্মজীবনের একেবারে শুরুতে দক্ষ প্রকৌশলী হওয়ার জন্য অকান্ত পরিশ্রমের চাকরি ও উচ্চশিক্ষায় মনোযোগী হতে গিয়ে লেখালেখি থেকে বিরত থাকেন দীর্ঘ ৭ বছর। তারপর থেকে আবার লেখালেখি চলছে নিরবচ্ছিন্ন। শরীফ আহমেদ বাংলাদেশের ৬৪ জেলা, ভারতের ৯টি রাজ্য ও পৃথিবীর ৯টি দেশে ভ্রমণ করেছেন। বিভিন্ন পত্রিকা, সাহিত্য সাময়িকী ও লিটলম্যাগে তার কয়েকশ কবিতা, বেশকিছু গল্প ও ভ্রমণকাহিনী প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত বই-৯টি। কাব্যগ্রন্থ- 'শীতল আগুন আর প্রাণের বিদ্রোহ', 'মনের ইস্টিশনে' ও 'স্বপ্নপোড়া আগুন'। উপন্যাস- 'বরফের সূর্য' ও 'ভ্যালেন্টাইনের কৃষ্ণশিকল'। গল্পগ্রন্থ- 'প্রেম এবং' ও 'বিনাশকাল'। ভ্রমণকাহিনী- 'মৎস্যপুচ্ছ পর্বতের দেশে' ও 'মেঘ পাহাড়ের রসায়ন'। তিনি 'প্রেম এবং' গল্পগ্রন্থের জন্য 'প্রাপ্তি গ্রন্থপদক ২০১৮' এবং 'প্রিয় বাংলা সম্মাননা স্মারক ২০২০' লাভ করেন। তিনি জাতীয় সংবাদপত্র 'সাপ্তাহিক অগ্রযাত্রা' ও অনলাইন সংস্করণ জাতীয় নিউজ পোর্টাল 'অগ্রযাত্রা বিডি ডট কম' -এর প্রকাশক।