"বাবা আদম শহীদ রহমতুল্লাহ আলাইহি" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: বাংলা তথা ভারতবর্ষে ইসলাম প্রচার ও প্রসারে আরব বণিক, সূফি-দরবেশ ও শাসক গােষ্ঠির অসাধারণ ভূমিকা রয়েছে। উপমহাদেশে ইসলাম প্রচারিত ও প্রসারিত হয়েছে। মুসলমান আলিম-ওলামা এবং সূফি-দরবেশ-আউলিয়াদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় তাঁদের সহজ, সরল, অনাড়ম্বর জীবন যাপনে, ইসলামের শান্তির বাণীতে, সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের শিক্ষায় মুগ্ধ হয়ে দলে দলে সাধারণ মানুষ ইসলাম গ্রহণ করে। তাঁদের প্রভাবে ইসলামী তাহজীব তমদুনের ছাপ উপমহাদেশের জাতীয় জীবনের প্রতিটি স্তরে সুন্দরভাবে প্রতিষ্ঠিত ও প্রতিফলিত হয়।। বাংলার প্রাথমিক যুগের সূফিদের শীর্ষে রয়েছেন রামপালের বাবা আদম শহীদ (র.); মদনপুরের শাহ মুহাম্মদ সুলতান রুমী (র.); মহাস্থানের শাহ সুলতান বলখি মাহীসওয়ার (র.) এবং শাহজাদপুরের মখদুম শাহদ্দৌল্লাহ শহীদ (র.)। অনেকের মতে উল্লিখিত চারজন সৃফি বখতিয়ারের লৌখণতি বিজয়ের আগে এতদঅঞ্চলে আগমন করে দ্বীন প্রচার করে মুসলিম বিজয়কে ত্বরান্বিত করেছে। হযরত বাবা আদম শহীদ (র.) শুধুমাত্র একজন বিখ্যাত আউলিয়া-দরবেশই ছিলেন না; বরং তিনি একাধারে বিখ্যাত পণ্ডিত, আলেমে দ্বীন, সফল মুজাহিদ, মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদ, ইসলাম প্রচারক এবং শ্রেষ্ঠতম সূফি-সাধক, ওলীয়ে কামিল সেই সাথে ইসলামের জন্য জীবন উৎসর্গকারী মহান শহীদ। বাংলাদেশের এই মহান শহীদ আউলিয়ার জীবন ও কর্ম, তার দাওয়াত ও অবদান সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ জীবনী গ্রন্থ রচনা করেছেন প্রাবন্ধিক ও গবেষক মুহাম্মদ জোহরুল ইসলাম। আমি এই গবেষণাগ্রন্থের বহুল প্রচার ও পাঠ কামনা করছি।