"প্রাচীন মহাপন্ডিত চাণক্যের সাফল্য সূত্র" বইয়ের পেছনের কভারে লেখা: এই গ্রন্থে প্রাচীন ভারতীয় মহাপণ্ডিত চাণক্যের শ্লোকগুলাে সাফল্য সূত্র ও নীতি সূত্রের আলােকে উপস্থাপন করা হয়েছে। যেখানে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্য ও সমৃদ্ধি অর্জনের পন্থা সম্পর্কে চমকপ্রদ কৌশলের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। যাতে করে এই মহান পণ্ডিতের অসাধারণ বাস্তব শিক্ষাকে ব্যক্তি জীবনে কাজে লাগিয়ে আমরা নিজেদের সাফল্যের পথে পরিচালিত করতে পারি। চাণক্য ব্যক্তি জীবনে সাফল্য ও সমৃদ্ধির অসাধারণ সব কৌশলের প্রবক্তা। তিনি মনে করেন, সাফল্য অর্জন যুদ্ধক্ষেত্রে বীরত্ব প্রদর্শনের ন্যায়। আর এ বীরত্ব প্রদর্শন বুদ্ধি, কৌশল ও যথাযথ প্রয়ােগশৈলীর উপর নির্ভরশীল। শক্তিশালী রণনীতি ছাড়া সাফল্য তুরান্বিত হয় না। উনি কেবলমাত্র রণনীতিই তৈরি করতেন না, বরং সেগুলাে প্রয়ােগ করার সম্পূর্ণ রূপরেখাও তৈরি করতেন। ওনার সঠিক রণনীতিরই পরিণাম এটা ছিল যে, উনি যা কিছু চেয়েছেন… সেগুলােকে সঠিক সময়ে এবং প্রভাবশালীভাবে পূরণও করেছেন তাঁর সাফল্য সূত্র ও নীতি সূত্রের যথাযথ প্রয়ােগশৈলীতার দ্বারা। এই গ্রন্থের শ্লোক, উপমা, উপদেশ ও পরামর্শ প্রত্যেক মনের সুপ্তশক্তির বিকাশ ঘটিয়ে জাগতিক, নৈতিক ও চারিত্রিক উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে সকল পেশায় সম্মান, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দ্বার খুলতে সাহায্য করবে এবং কাঙ্ক্ষিত প্রত্যাশা ও সফলতা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অপরিসীম ভূমিকা পালনে প্রেরণা যােগাবে বলে আমার বিশ্বাস।
সৈয়দ মোস্তাক আহ্মাদের জন্ম ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর গ্রামে। তার পিতা মাওলানা মুহাম্মদ তমিজ উদ্দীন (র.) ছিলেন একজন পীর ও আধ্যাত্মিক পুরুষ। তার মাতা মনোয়ারা বেগমও ছিলেন সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে আগত। এরকম সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান মোস্তাক আহ্মাদ এর ভাগ্য যেন নির্ধারিতই ছিল যে তিনি বড় হয়ে ধর্ম ও সুফি দর্শন নিয়ে লিখবেন। পারিবারিক ঐতিহ্যের কল্যাণে শৈশব থেকে তার ধর্মীয় শিক্ষার ভিত মজবুত হয়। পাশাপাশি সুফি দর্শন, মরমী দর্শন, আধ্যাত্মিকতা ইত্যাদি বিষয়েও পারিবারিকভাবে শিক্ষা লাভ করেন। তাই তো মোস্তাক আহ্মাদ এর বই সমূহ আধ্যাত্মিকতা ও দর্শন থেকে শুরু করে ধর্মীয় ইতিহাস, অনুশাসন, আত্মোন্নয়ন, মানবজীবন ও দর্শন ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান ও অনুপ্রেরণার অফুরন্ত উৎস। মোস্তাক আহমাদ একজন দক্ষ মোটিভেটর। মেডিটেশন ও নানাবিধ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এবং ব্যক্তিগত উন্নয়ন সাধন করতে সক্ষম। বর্তমানে ‘ড্রিমওয়ে ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ’ এর ড্রিমওয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তথা সিইও হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি। মানবোন্নয়ন, ব্যক্তিক উৎকর্ষ সাধন, সুফি ও মরমী দর্শন নিয়ে দেড় শতাধিক পাঠকপ্রিয় বই লিখেছেন তিনি। মোস্তাক আহমাদ এর বই সমগ্র ব্যক্তিজীবনে সমৃদ্ধি ও সাফল্যের চূড়ায় আরোহণের প্রেরণা দেয়, ব্যক্তিমনের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের পথ দেখায়, সাফল্যের আকাঙ্ক্ষা ও ক্ষুধা জাগ্রত করে। ‘দ্য ম্যাজিক অব থিংকিং বিগ’, ‘বুদ্ধি ও বিনিয়োগ শেয়ার ব্যবসায় সেরা সাফল্য’, ‘মেধা বিকাশের সহজ উপায়’, ‘ইতিবাচক চিন্তার শক্তি’, ‘বিজনেস স্কুল’, ‘মাওলানা রুমীর আত্মদর্শন’, ‘লালন সমগ্র’, ‘টাকা ধরার কৌশল’, ‘দিওয়ান-ই-হাফিজ’, ‘দিওয়ান-ই-শামস তাবরিজ’, ‘আত্মোন্নয়ন ও মেডিটেশন’ ইত্যাদি তার কিছু জনপ্রিয় বই।