বেগম রাজিয়া হোসাইন ১৯৩৬ সালে কিশোরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন।বাংলাদেশ সুপিরিয়র সার্ভিসের সদস্য হিসেবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালক পদ থেকে অবসর গ্রহন করেন।তার প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা অর্ধশতাধিক। ২০০৯ সালে তিনি 'বেগম রোকেয়া পদক' অর্জন করেন।তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের বিশিষ্ট নেত্রী এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের একজন সচেতন সহযোদ্ধা।
-কাহিনী সংক্ষেপঃ পাঁচ বছরের একটি মেয়ে পিওনি।(সম্পর্কে লেখিকার নাতনি) সেই ছোট্ট সোনামনি পিওনি সামনে জন্মদিন। দুরন্তপনায় ভরপুর মেয়ে পিওনি।সকল বিষয়ে জানার আগ্রহ।বাবা-মা চাকরির হেতু বাহিরে থাকার ফলে,বাসাতে নানুর(লেখিকা) সাথেই থাকা পড়ে পিওনি'র।তাই,হাজারো প্রশ্ন পিওনি করে থাকপ তার নানু'র কাছে।করোনাকালীন সময়ের কথা উঠে এসেছে বইটিতে।কীভাবে পিওনির দিনগুলো অতিবাহিত হয়েছে বইটিজুড়ে সেই কথাই বর্ণনা করেছেন লেখিকা।পিওনি'র জানার আগ্রহ পৃথিবী ছাড়িয়ে মহাকাশেও বিচরণ করছে।সকল বিষয়ে জানার অসীম আগ্রহ থাকায় সারাদিন এটা ওটা নিয়ে ব্যস্ত থাকে পিওনি।অবসর সময়ে ঘুরতে গিয়েছে লঞ্চের করে চাঁদপুর,ফ্যান্টাসি কিংডম,বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক,নন্দন পার্ক,জাতীয় স্মৃতিসৌধ,সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘর ইত্যাদি স্থানে।এসকল স্থানের ভ্রমণ কাহিনীও উঠে এসেছে বইটিতে।
-পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ শিশুতোষ বইটি পরিবারের যেকেউ তাদের পরিবারের শিশুদের জন্য বাছাই করতেই পারেন! কারণ,এর মাধ্যমে এই যান্ত্রিকতার যুগে এক শিশু যদি আর এক শিশু সম্পর্কে বইয়ের পাতা থেকে জানতে পারে তাহলে খারাপ কি?