রোকসানা গুলশান কাকলী রচিত 'প্রকৃতি প্রেরণা ও প্রিয় আপা' বইটি বাংলা চিঠি সাহিত্যে একটি অপূর্ব সংযোজন। চিঠির ভেতর দিয়ে এখানে যেন প্রকৃতির বন্দনা করা হয়েছে। প্রকৃতি মানুষের যে কতখানি প্রাণদায়িনী শক্তি, এই চিঠিগুলো পড়বার ভেতর দিয়ে পাঠকেরা আবার উপলব্ধি করে উঠতে পারবেন। সেই সঙ্গে এটাও বলা যায় যে প্রকৃতির হাত ধরে এখানে উঠে এসেছে মানুষ, সমাজ, দেশ, মাতৃভূমি, বঙ্গবন্ধু এবং প্রিয় নেতা তাজউদ্দীন আহমদ। সেই সঙ্গে তাজউদ্দীন দুহিতা শারমিন আহমদও।
প্রকৃতি মানুষের ভালোবাসা চায়, প্রকৃতি মানুষের প্রশংসার জন্যই নিজেকে ঋতু অনুযায়ী সজ্জিত করে, মানুষের মনের ভেতরে কবিত্বকে জাগাবার জন্য সে আষাঢ়ের বাদল হয়ে নেমে আসে। শীতের কুয়াশায় নিজকে আবৃত করে রহস্য হয়ে চোখে ধরা দেয়। চাঁদনী রাতে মোহময়ী হয়ে সে পৃথিবীর মানুষের মন ভোলায়। প্রকৃতির যা কিছু কর্মকান্ড সব জগতের মানুষকে ঘিরে। প্রকৃতি ও মানুষ একে অপরকে পূর্ণতা দেয়। কিন্তু আমরা জগতের মানুষেরা নিজেদের এমন সব কর্মে ব্যাপৃত রাখি যে প্রকৃতির দিকে চোখ তুলে তাকাবারও আমাদের সময় হয় না। রোকসানা গুলশান রচিত এ বইটি আমাদের প্রকৃতির দিকে আবার চোখ ও মন ঘুরিয়ে দেবার চেষ্টা করেছে। এই প্রচেষ্টা অবশ্যই ধন্যবাদের যোগ্য।
প্রকৃতি ও মানুষ জন্মসূত্রে একে অন্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত,প্রকৃতিকে ভালোবাসা প্রকারন্তরে যে ঈশ্বরকেই ভালোবাসা এই বোধ সঞ্চার করে রোকসানা গুলশান কাকলীর চিঠিগুলির বিষয়বস্তু। প্রকৃতি ও ঈশ্বর কে যেন আমরা মুহূর্তের জন্যও ভুলে না যাই,এই বই তারই এক জলন্ত দৃষ্টান্ত।