লেখক নাজনীন নাহারের প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত কবিতাগুচ্ছ নিয়ে এই আয়োজন। লেখক নাজনীন নাহার নিজের উপলব্ধিতে বলেছেন, “এতদিন আমি যত লেখালেখি করেছি। তা ছিল আমার কবিতার জীবনের শৈশব কাল। উপলব্ধি করলাম মাত্র আমি আমার লেখার কৈশোরে পা রেখেছি। বর্তমান সময়টা মূলত আমার লেখালেখির কৈশোর বলা যায়। শিখছি আর লিখছি এখনও। কতদিনে আমি আমার কবিতার যৌবনে পেঁৗছাতে পারব জানি না। জানি না ততদিন বেঁচে থাকব কি—না! হয়তো কবিতার কৈশোরই চলে যেতে হতে পারে পৃথিবী থেকে। আমি চাইব আমি যেন আমার কবিতার কৈশোর পেরিয়ে কবিতার যৌবনও উদযাপন করতে পারি। এবং একদিন ঠিক পেঁৗছে যেতে পারি কবিতার বার্ধক্যেও। আল্লাহর রহমতের সাথে সকলের ভালোবাসা ও দোয়া হয়তো আমাকে আমার স্বপ্নের সৌধস্থলে পেঁৗছাতে পারবে ইনশাআল্লাহ।” ‘কবিতার কৈশোর’ কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলোর বিষয়বস্তু বিভিন্ন। তাই পাঠকের জন্য ভিন্নতার স্বাদ অবধারিত। প্রেম, বিরহ, দুঃখ, দহন অভিমান যেমন আছে আছে মানুষ জীবন ও নারী জীবনের রূঢ় বাস্তবতার বাতাবরণ। আছে ক্ষুধা, দারিদ্র, মৃত্যু ও স্বাধীনতার সন্দীপন। লেখক চমৎকার ভাবে ভাব, বোধ, ভাষা ও শব্দের অলঙ্করণে ঋদ্ধ করেছেন কাব্যগ্রন্থ ‘কবিতার কৈশোর’। কবিতার কৈশোর কাব্যগ্রন্থ লেখকের কবিতা লেখাকালীন কৈশোরকেই উপস্থাপন করেছে। আর তাই কৈশোরের স্মৃতি বিজড়িত এই চমৎকার প্রচ্ছদ। আশা করছি লেখকের অনান্য কাব্যগ্রন্থের মতো এবারও পাঠক হৃদয় জয় করবে ইনশাআল্লাহ।
লেখক নাজনীন নাহার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমফিল করেছেন এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এলএলবি করেছেন। স্বামী সন্তান নিয়ে তার সংসার। ইতোমধ্যে তার লেখা বিভিন্ন জনরার ৪২টি একক মৌলিক বই প্রকাশিত হয়েছে। একজন সৃষ্টিশীল মানুষ তিনি। তার লেখার মূল উপজীব্য হচ্ছে মানুষ, প্রেম, দেশাত্মবোধ, মনুষ্যত্ব এবং মানবতা। তিনি নিভৃতচারী একজন মানুষ। সংসারের পাশাপাশি নিজেকে ডুবিয়ে রাখেন সাহিত্য চর্চায়। তাইতো নিজেকে নয় নিজের লেখা, বোধ, উপলব্ধি তথা নিজের সৃষ্টিকে পুরোদস্তুর সমৃদ্ধ করতে চান তিনি। পৌঁছে দিতে চান মানুষের মন ও মগজের ভাবনায়। মানুষের আত্মউপলব্ধিতে রোপণ করতে চান বিশুদ্ধ বোধের অখণ্ড সন্তরণ। লেখার মাধ্যমে তিনি মানুষের কল্যাণ করতে চান। মানুষের মনন ও বিশ্বাসের পৃথিবীতে মানবিকতার বিশুদ্ধ বোধ ছড়িয়ে দিতে চান। তার লেখালেখির উদ্দেশ্য এটাই।