‘সালাফগণের দুনিয়াবিমুখতা’ এমন একটি গ্রন্থ, যা আপনাকে দেখাবে কীভাবে একজন মুসলিম দুনিয়ার মোহ থেকে মুক্ত থেকে পরকালের দিকে মনোযোগ দিতে পারে। নবী ﷺ ও সালাফে সালিহিনদের জীবনধারা অনুসরণ করে যেভাবে তারা দুনিয়ার ব্যস্ততা ও ভোগ-বিলাস ত্যাগ করতেন, সেই পথনির্দেশ এখানে সংকলিত হয়েছে বিশুদ্ধ হাদীস ও প্রজ্ঞাপূর্ণ ব্যাখ্যার মাধ্যমে। আজকের ভোগবাদী জীবনে এটি আপনাকে আত্মশুদ্ধি ও ঈমানের শক্তি ফিরিয়ে আনবে।
বইটি সম্পর্কে কিছু কথা:
আপনি যদি কখনো অনুভব করেন যে দুনিয়ার আকর্ষণ আপনাকে আল্লাহর থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে, এই বইটি সেই অনুভূতিকে বদলে দিতে পারে। এটি দেখাবে কীভাবে দুনিয়া থেকে গা সরিয়ে, অন্তরে শান্তি এবং আখিরাতমুখী চিন্তা প্রতিষ্ঠা করা যায়। বইটির প্রতিটি পৃষ্ঠা আপনাকে মনে করিয়ে দেবে, সাফল্যের মূলমন্ত্র হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং দুনিয়া কেবল অস্থায়ী একটি মাধ্যম।
বইটির মূল বৈশিষ্ট্য:
এই সংকলনে রয়েছে প্রাচীন ও আধুনিক মুহাদ্দিসদের যাচাইকৃত সবচেয়ে বিশুদ্ধ হাদীস। প্রতিটি বর্ণনার পাশে সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা ও প্রয়োগিক উদাহরণ, যা আপনাকে সহজে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে সাহায্য করবে। বইটি প্রস্তুত করা হয়েছে বুখারি, মুসলিম, তিরমিজি, নাসায়ি, ইবনু মাজাহ, আবু দাউদসহ আরও বহু হাদীস গ্রন্থ থেকে। এছাড়া ইমাম ইবনুল মুবারাক, ইমাম আহমাদ, ইমাম বাইহাকি, ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ সহ সালাফদের বিশুদ্ধ বর্ণনাসমূহও সংকলিত।
এই বইটি কেন পড়বেন?
কারণ এটি শুধুমাত্র একটি হাদীসগ্রন্থ নয়, এটি একটি আত্মিক পথনির্দেশিকা। এখানে আপনি শিখবেন দুনিয়াবিমুখতার প্রকৃত অর্থ, নবী ﷺ–এর জীবন থেকে বাস্তব উদাহরণ, এবং নিজের অন্তরকে পরিশুদ্ধ রাখার উপায়। পড়ার পর আপনি অনুভব করবেন, দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী, আর প্রকৃত সফলতা কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টিতে।
এই বইটি আধুনিক মুসলিমদের সেই বড় সমস্যা সমাধান করবে, যেখানে মানুষ দুনিয়ার মোহে হারিয়ে গিয়ে ঈমানের আলো হারাচ্ছে। এটি দূর করে দুনিয়াসক্তির রোগ, শেখায় আত্মসংযম, কৃতজ্ঞতা, তাওয়াক্কুল এবং আখিরাতমুখী চিন্তা।
বইটি থেকে আপনি শিখবেন কীভাবে দুনিয়ায় থেকে যুহদ অবলম্বন করা যায়—নবী ﷺ–এর মতো পরিপাটি থেকেও অন্তরে দুনিয়ার মোহ না রাখা। এটি আপনাকে দেবে মানসিক প্রশান্তি, আল্লাহর দিকে আকর্ষণ এবং দুনিয়ার অস্থিরতা থেকে মুক্তি।
সালাফগণের দুনিয়াবিমুখতা আপনার জীবনের জন্য হতে পারে এক অনন্য আত্মশুদ্ধির পথনির্দেশিকা, যা হৃদয়ে ঈমানের নতুন আলো জ্বালাবে, ইনশাআল্লাহ।