দুআ অতি গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত। মহান আল্লাহর সাথে ক্ষুদ্র বান্দার এক মোবারক সেতুবন্ধন। এই অমূল্য সূত্রের যত বেশি কদরদানী বান্দা করবে, মহান আল্লাহর সাথে তার বন্ধন ততই দৃঢ় ও উন্নত হবে। আর আল্লাহ তায়ালার সাথে মজবুত সম্পর্কই হচ্ছে বান্দার পরম সৌভাগ্য। দুআ আল্লাহকে স্মরণ করার এক উন্নত পন্থা, আর আল্লাহকে স্মরণের মাধ্যমেই দুনিয়ার সবকিছু আলোকিত হয়ে ওঠে। মানুষের মন–মস্তিষ্ক, আমল-ইবাদত, কাজকর্ম সবকিছুই আলোকিত হয় আল্লাহর স্মরণের দ্বারা। আল্লাহর স্মরণের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকার হচ্ছে : মাসনূন দুআসমুহ যত্নের সাথে পাঠ করা। মাসনূন দুআ মানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত দুআ। এ দুআগুলো তার পবিত্র জীবনের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য। গভীর অর্থ-মর্ম, আল্লাহ তাআলার সব রিযা ও বন্দেগীর নিখুত বহিঃপ্রকাশ এই দুআগুলো।
তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণে আল্লাহর বান্দা যখন এই দুআগুলোর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জনে প্রয়াসী হয় তখন সে এসবের অর্থ-মর্ম-তাৎপর্য যত দূরই উপলব্ধি করুক, আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে অনেক দূর অগ্রসর হয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা জাযায়ে খায়ের দান করুন মাওলানা আহমাদ ইউসুফ শরীফ সাহেবকে, তিনি আরবের একজন দায়ী আলিম “ শায়খ সাঈদ ইবনু আলী ইবনি ওয়াফ আল কাহতানী ”সংকলিত দুআ-যিকির-রুকইয়া বিষয়ক গ্রন্থ থেকে নির্বাচন করে একটি সুন্দর পুস্তিকা প্রস্তত করেছেন। মহান আল্লাহ তাআলার কাছে কায়মনোবাক্যে দুআ করছি, হাদীস শরীফ থেকে আহরিত দুআ ও আমলের এই বইটিকে কবূল করে নিন।
শাইখ মুহাম্মাদ যাকারিয়া আব্দুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ উস্তাদ, মারাকাযুদ দাওয়াহ আলইসলামিয়া ঢাকা। সহ সম্পাদক , মাসিক আল কাউসার।
তিনি ১৩৭২ হিজরি সনে সৌদি আরবের কাহতানের আরিন নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন৷ মৃত্যুকালে হিজরি সন অনুযায়ী তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। এ প্রখ্যাত আলেম জনপ্রিয় জিকিরের কিতাব ‘হিসনুল মুসলিম’সহ ৮০টি কিতাব রচনা করেন। আজ বাদ আসর স্থানীয় রাজেহি জামে মসজিদে জানাজা শেষে তার লাশ মাকবারায়ে নাসিমে দাফন করা হবে। ড. সাঈদ বিন আলি বিন ওয়াহাফ আল-কাহতানি ১৪০৪ হিজরিতে জামেয়া ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে সউদ থেকে ‘কুল্লিয়াতু উসুলিদ দ্বীন’ বিষয়ের মাধ্যমে শিক্ষা জীবন সমাপ্ত করেন। অতঃপর ১৪১২ হিজরিতে তিনি ‘আল হিকমাহ ফিদদাওয়াতি ইলাল্লাহ’ বিভাগে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন এবং ১৪১৯ হিজরিতে ‘ফিকহুদ দাওয়াহ ফি সহিহিল ইমামিল বুখারি’ বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন৷ তিনি কাহতানের স্থানীয় মসজিদের ইমাম ও দায়ী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ড. সাঈদ বিন আলি বিন ওয়াহাফ আল-কাহতানি লিখিত ‘হিসনুল মুসলিম’ কিতাবটি কয়েক মিলিয়ন কপি ছাপা হয়েছে, যা পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ ও প্রচার হয়েছে। যা মুসলিম উম্মাহর জন্য এক বিশেষ নেয়ামত। আল্লাহ তাআলা বিশ্বনন্দিত আলেমেদ্বীন শায়খ ড. সাঈদ বিন আলি বিন ওয়াহাফ আল-কাহতানিকে জান্নাতে মেহমান হিসেবে কবুল করুন। আমিন।