সূর্যতামসীতে যে রমনপাষ্টির খেলা শুরু হয়েছিল, সেই ভয়ঙ্কর খেলা এবার একেবারে শেষ চরণে... শতবর্ষ আগে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ পাপ, যা প্রকাশ পেলে “স্বয়ং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিত্তি টলিয়া যাইতে পারে”, লুকিয়ে রাখতে চেয়েছিল গোটা এক মানবগোষ্ঠী। সে পাপ সবার অজান্তে আবার মাথাচাড়া দিয়েছে। এ এমন এক অভিশাপ, যা কাউকেই অনাহত রাখে না। তাড়া করে চলে বীভৎস দুঃস্বপ্নের মতো। অগ্নিনিরয় সেই অন্ধকারের দিনলিপি। এর অপরূপ মহাকাব্যিক কথনে প্রিয়নাথ মুখার্জি, গণপতি, সাইগারসন, তারিণী আর তুর্বসুর পাশাপাশি উজ্জ্বল হয়ে ওঠে লাজুক শৈলচরণ, নির্ভয় লখন কিংবা বৃহন্নলা রামানুজের মতো প্রান্তিক মানুষজন। আসে একের পর এক মৃত্যু। হত্যা। দুর্ঘটনা। বদলে যাওয়া হাতের ছাপ। হারিয়ে যাওয়া স্মৃতির রোমন্থন। চিকিৎসাশাস্ত্র আর জাদুবিদ্যার নিষিদ্ধ পরিজ্ঞান। মহারাণীর প্রাণভোমরা লুকিয়ে থাকে প্রাচীন এক কাঠের বাক্সে। কে দেবে সেই বাক্সের সন্ধান? আর ভূত? তাকে বশ করবে কে? তিনটি ক্রমিক পর্ব ধরে, কালের একুল-ওকুল ছাপিয়ে, কলকাতা, চন্দননগর, চুঁচুড়ার অন্ধকার অলিগলি বেয়ে বয়ে চলা এই ম্যাসন সিরিজ অবশেষে বিরতি নেবে এই খণ্ডে। আকারে বৃহত্তম, আখ্যানে জটিলতম, বিস্তারে সর্বব্যাপী এই উপন্যাসটির পাঠে যেমন উঠে আসে নরকের হলাহল, তেমনি পাওয়া যায় এক অনাস্বাদিত অমৃতের ছোঁয়া। হিংসা, প্রতিহিংসা, প্রতিশোধ আর প্রেমের এই অদ্ভুত কাহিনির শেষে শুধু মানবতাই জাগরুক থাকে। আর কিছু নয়।
জন্ম ১০ এপ্রিল, ১৯৮১, কলকাতা। কৃতি ছাত্র। বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান সংস্থা থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পি. এইচ. ডি. তে সেরা ছাত্রের স্বর্ণপদক লাভ করেছেন। নতুন প্রজাতির এক ব্যাকটেরিয়ার আবিষ্কারক, যার নাম তাঁর নামে Bacillus sp. KM5 করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ধান্য গবেষণা কেন্দ্র, চুঁচুড়ায় বৈজ্ঞানিক পদে কর্মরত। কেতাবি পড়াশুনোর বাইরে নানা বিষয়ে পড়াশুনো ও লেখালেখি তাঁর শখ। দেশে বিদেশে গবেষণাপত্রে নানা প্রবন্ধ লেখার পাশাপাশি নিয়মিত লেখালেখি করেন নানা দৈনিক ও সাময়িক পত্রিকায়। জার্মানী থেকে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর লেখা গবেষণাগ্রন্থ Discovering Friendly Bacteria: A Quest (২০১২)। ভারতীয় ভাষায় প্রথম কমিকসের বিস্তারিত ইতিহাস ‘কমিকস ইতিবৃত্ত’(২০১৫) সুধীজনের প্রশংসাধন্য। সম্পাদনা করেছেন ‘সিদ্ধার্থ ঘোষ প্রবন্ধ সংগ্রহ’ (২০১৭)।