"মা-বাবার অধিকার "বইটির ভূমিকা: الحمد لله وكفى وسلام على عباده الذين اصطفى রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ্ তা'আলার পক্ষ থেকে যে সত্য ও হেদায়ত নিয়ে এ ধরায় আগমন করেছেন, তন্মধ্যে সর্বপ্রথম বস্তু ছিল ঈমান ও তাওহীদের দাওয়াত। অতঃপর যে ব্যক্তি তার উক্ত দাওয়াত কবুল করে নিত, তিনি তাকে আমলী জিন্দিগী গঠন করার জন্য পথপ্রদর্শন করতেন। তাঁর সেই উপদেশাবলীকে মূলত দুভাগে ভাগ করা যায়। প্রথমতঃ, ঐ সকল বিষয় যা বান্দাদের উপর আল্লাহ্ তা'আলার হকের সাথে সংশ্লিষ্ট। যে ব্যাপারে তিনি বলে দিয়েছেন যে, বান্দাদের উপর আল্লাহ্ তা'আলার কি হক রয়েছে এবং এ বিষয়ে তাদের উপর ফরযসমূহ কি কি। আর এ সকল হক ও ফরয তারা কিভাবে আদায় করবে। | দ্বিতীয়তঃ, তাঁর শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত ছিল ঐ সকল বিষয় যা বান্দাদের হকের সাথে সংশ্লিষ্ট। যার মধ্যে বলা হয়েছে যে, বান্দাদের উপর অন্য বান্দাদের ও সর্বসাধারণের কি কি হক রয়েছে। এ পার্থিব জগতে কোন ব্যক্তি যখন অন্য ব্যক্তির সাথে অথবা কোন মাখলুকের সাথে কোন বিষয়ে জড়িত হয় বা কোন কিছু আদান-প্রদান করে, তখন তাদের মধ্যে কি নীতিমালা হওয়া উচিত এবং এ বিষয়ে আল্লাহ্ তা'আলার বিধান কি। হুক্কুল ইবাদের মাসআলা এজন্যই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও ভীতিপ্রদ যে, এতে কোন ত্রুটি হলে অথবা কারাে হক নষ্ট হলে কিংবা কোন যুলুম বা বাড়াবাড়ি হলে, আল্লাহ্ তা'আলা অত্যন্ত দয়ালু ও দাতা হওয়া সত্ত্বেও তার ক্ষমা ও মুক্তির ব্যাপারে তিনি স্বীয় হস্ত প্রসারিত করেন না;বরং (তা থেকে বাঁচার) উপায় হল, হয়ত ইহজগতে ঐ ব্যক্তির হক আদায় করে দেবে অথবা তার নিকট
মাওলানা আশেক এলাহী বুলন্দশহরী (রহ.) ছিলেন উপমহাদেশের অন্যতম শ্রদ্ধাভাজন আলেম, প্রখ্যাত মুফাসসির, হাদীস ও ফিকহ বিশারদ এবং একজন সুফি লেখক। তাঁর জন্ম ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বুলন্দশহর জেলায়। বুলন্দশহর থেকেই তাঁর নামের শেষে "বুলন্দশহরী" যুক্ত হয়েছে। তিনি বিখ্যাত দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে পাকিস্তানের করাচি শহরে হিজরত করেন। সেখানে তিনি দীর্ঘদিন জামিয়া উলুম ইসলামিয়া, বানুরি টাউন-এ শিক্ষকতা করেন এবং বহু ছাত্রকে আলোকিত করেন। মাওলানা আশেক এলাহী (রহ.) তাঁর সুগভীর জ্ঞান, প্রাঞ্জল ভাষা ও সহজবোধ্য উপস্থাপনায় ইসলামী জ্ঞানভাণ্ডারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি মূলত হাদীস, তাফসীর, ফিকহ ও আত্মশুদ্ধিমূলক বিষয়ের ওপর বিশুদ্ধ আকীদাভিত্তিক বহু মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেছেন।