১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ও ত্যাগের বিনিময়ে আঁকা হয়েছিল লাল-সবুজের পতাকা। এদেশের মানুষ ভেবেছিল ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে, স্বাধীন ভাবে বাঁচবে। কিন্তু কিছুদিন না যেতেই নিজের আসল রূপ প্রকাশ করেন বাংলাদেশের প্রথম স্বৈরশাসক শেখ মুজিবুর রহমান।
বাকশালের মাধ্যমে একদলীয় শাসন কায়েম করেন! এদেশের মানুষ আবারো হয়ে যায় পরাধীন! যারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, বুক পেতে দিয়েছে অস্ত্রের মুখে, জীবনের পরোয়া করেনি, তাঁরা গোলামী মেনে নেয়নি। প্রতিরোধের আগুন জ্বেলে দিয়েছিল, হেসে উঠেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তা বেশি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি, একের পর এক বিদেশি ষড়যন্ত্র, বারবার স্বৈরশাসকের উদ্ভব, এদেশের মানুষের ভাগ্যকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে! সর্বশেষ স্বৈরশাসক, দিল্লির তাঁবেদার, খুনি শেখ হাসিনা ত্রাসের রাজ্য কায়েম করে এদেশকে বানিয়েছে কয়েদখানা। মানুষের ভোটাধিকার হরণ, মতের বিরুদ্ধে গেলেই জেল-জুলুম-নির্যাতন, মামলা-হামলার মতো ঘৃণ্য কাজে লিপ্ত থেকে তৈরি করেছে আয়নাঘর।
তার মূল লক্ষ্য ছিল শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজকে সমাপ্ত করা, তাই বাকশাল থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে। কিন্তু তার এই মনোবাসনা পূর্ণ হয়নি, চব্বিশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে । এই আন্দোলনে সাংস্কৃতিক যোদ্ধাদেরও অবদান ছিল অপরিসীম। তাঁদের অসংখ্য জাগরণী গান-কবিতা স্বৈরাচারীর বুকে কাঁপন ধরিয়েছিল। তেমনই প্রতিবাদী সব লেখা দিয়ে বইটি সাজানো হয়েছে।
২ নভেম্বর ১৯৯৯, কুমিল্লা জেলার অন্তরবর্তী চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বসুয়ারা গ্রামের হাজারী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।পিতার নাম মোঃ আহছান উল্লাহ ও মাতা পারুল বেগম। উচ্চমাধ্যমিকে পড়াকালীনসময়ে লেখালিখির হাতেখড়ি। বিভিন্ন সাহিত্যসাংস্কৃতিক সংগঠনে আসা-যাওয়ার মাধ্যমেসাহিত্য চর্চায় বেশ অনুপ্রাণিত হন। প্রথমবারের মতো লেখা প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালের ১৮ই ডিসেম্বর ‘দৈনিক কুমিল্লারকাগজ’ পত্রিকায়।তারপর ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল ‘দৈনিক যায়যায়দিন’পত্রিকায় লেখা প্রকাশের মাধ্যমে জাতীয় পত্রিকায় লেখালিখির শুভ সূচনা হয়। পরবর্তীতে জাতীয় দৈনিক সমকাল, নয়াদিগন্ত, ভোরের কাগজ, মানবকণ্ঠ, প্রতিদিনেরসংবাদ, সংগ্রাম, যুগান্তর, এবং দেশের সর্বাধিক প্রচারিত ম্যাগাজিন নবারুণ, বেতার বাংলা, মনন, ফুলকুঁড়ি, কিশোর কণ্ঠ, কিশোর পাতা, নকীব, দ্বীন দুনিয়াসহ জাতীয় এবং স্থানীয় অসংখ্য পত্র-পত্রিকা, ম্যাগাজিনেনিয়মিত লেখালিখি করেন। গান লেখাতেওতার ভালো দক্ষতা রয়েছে। একাধারে তিনি একজন কবি-সাহিত্যিক, গল্পকার, শিল্পী ওসংগঠক। ‘বাকশাল থেকে স্বৈরাচার’ বইটি লেখকেরদ্বিতীয় বই, প্রথম বই ‘ফুলের মতো জীবন গড়ো’।