মুহাম্মাদ (সা) ইসলামের সর্বশেষ নবী ও রাসূল, যাঁর মাধ্যমে আল্লাহ তাঁর সর্বশেষ ও পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান প্রেরণ করেন। তিনি ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন এবং আরব সমাজের মধ্যকার অশান্তি, অন্যায় ও অজ্ঞতার পরিবেশে মানবতার জন্য শান্তি ও ন্যায়ের বার্তা নিয়ে আবির্ভূত হন। ৪০ বছর বয়সে নবুওয়াত প্রাপ্তির মাধ্যমে আল্লাহর কাছ থেকে ওহি (প্রকাশ্য বার্তা) লাভ করেন, যা সংকলিত হয়ে পবিত্র কুরআন রূপে আমাদের কাছে পৌঁছেছে।
মুহাম্মাদ (সা) কেবল একজন ধর্মীয় নেতা ছিলেন না, বরং তিনি ছিলেন একজন আদর্শ রাষ্ট্রনায়ক, ন্যায়বিচারক, শিক্ষাবিদ এবং মানবতার প্রকৃত মুক্তির দিশারি। তাঁর জীবনের প্রতিটি দিক, হিজরত থেকে শুরু করে মদিনা সনদ প্রতিষ্ঠা এবং মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে তিনি শান্তি, সহিষ্ণুতা ও ন্যায়ের উদাহরণ স্থাপন করেন।
তিনি সবসময় দয়ালু, উদার এবং সবার প্রতি সমান আচরণ করতেন। তাঁর শিক্ষায় রয়েছে একত্ববাদের বার্তা, যার মূল কথা হলো, এক আল্লাহর প্রতি আনুগত্য এবং মানবজাতির কল্যাণ। মুহাম্মাদ (সা) চিরকালীন সত্য, ন্যায় ও মানবিক মূল্যবোধের শিক্ষাকে প্রতিষ্ঠা করে গেছেন, যা সমগ্র মানবজাতির জন্য পথপ্রদর্শক।
মুহাম্মাদ (সা)-এর শিক্ষা ও আদর্শ আজও মানুষের জীবন ও সমাজে প্রাসঙ্গিক। তিনি শেষ নবী হওয়ায় তাঁর বার্তাই আল্লাহর চূড়ান্ত নির্দেশনা, যা সব যুগের, সব মানুষের জন্য প্রযোজ্য। তাঁর জীবন ও শিক্ষা মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা ও আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করে।