আজিজ মধ্যবয়স্ক একজন পুরুষ, যিনি সদ্য বিয়ে করেছেন। আর আশ্চর্য হয়ে দক্ষ করেছেন, তার স্ত্রী সায়রা ঘুমায় না। দিন-রাত চবিবশ ঘণ্টার একটা মুহূর্তও চোখের পাতা এক করা হয় না তার। তিনি আরও লক্ষ করেছেন, ওই না ঘুমানোর দরুন খুব একটা শারীরিক-মানসিক অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে না সায়রাকে। বরং সে বেশ সুস্থ, প্রাণচঞ্চল আর চমৎকার। প্রথম প্রথম অতটা মনোযোগ না দিলেও ধীরে ধীবে আজিজ ঠিকই টের পেয়েছেন, সায়বা অন্ধকারেও স্পষ্ট দেখতে পায়। তাছাড়াও সায়বার সঙ্গে আছে একটা অস্বস্তিকর ছায়া। এবং যা আজিজ জানেন, চান না সায়রা তা জানুক।
একজোড়া কপোত-কপোতীর 'ঘুম' ও 'ছায়া' নিয়ে করা লুকোচুরির গল্প থেকে বহু দূরে একটা নীল জগতে তিন পা নিয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে একটা মুগ। এই মৃগটার জানা নেই, একটু পরই তার মৃত্যু হবে। তাকে হত্যা করবে একজন মায়াল। আর ওই হত্যার দায়ে একদিক থেকে পুড়তে শুরু করবে নীল জগত।
এবং যখন নীল জলাত পুড়ছিল, তার থেকেও বহু দূরে কোথাও একটা ধু-ধু প্রান্তরের মাঝখানে, একলা ছোট্ট একটা গৃহে, রাতের অন্ধকারে প্রবেশ করল ছয়জন যুবক। তাদের সনার হাতে কুঠার।
গগৃহের ভেতর একজন অন্তঃসত্ত্বা তরুণী, যিনি সদ্য প্রসব করেছেন একটি সন্তান। ছয়জন যুবক রক্তাক্ত কুঠার হাতে সেই গৃহ হতে বের হয়ে গেল।
ঘুম, মৃগ ও সন্তান- তিনটা খণ্ড খণ্ড গল্পের যোগসূত্র একটাই। তা হলো, মায়াৎ। 'মৃগয়া' এই 'মায়াং'-এর গল্প।