"জাল হাদীস" বইয়ের সূচিপত্রঃ হাদীসের পরিচয় ও প্রয়ােজনীয় তথ্য। হাদীস ও সুন্নাত। ইসলামে হাদীসের গুরুত্ব। হাদীসের আলােচ্য বিষয় ও লক্ষ্য-উদ্দেশ্য। হাদীস সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও সংকলন । মহানবী (স) ও খােলাফায়ে রাশেদীনের আমলে হাদীস কেন সংকলিত হয়। হাদীস সংকলনের পটভূমি। হাদীস সংগ্রহ ও সংকলনের প্রয়ােজনীয়। ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে হাদীসের অবদান। হাদীসের শ্রেণীবিভাগ ও ব্যাখ্যা। হাদীসে কুদসীর পরিচয়। আল-কুরআন হাদীসে কুদ। হাদীস ও কুরআনের পার্থক্য। সনদ, মতন ও রিওয়ায়াতের পরিচ। সনদে রাবীদের সংখ্যা। কম-বেশি হিসেবে হাদীসের প্রকারভেদ। হাদীসে মাশহুর, হাদীসে আযীয ও হাদীসে গরীব-এর সংজ্ঞা ও হুকুম। হাদীসে মাশহুর ও খবরে মুস্তাফিয়ের মধ্যে পার্থক্য। হাদীসে মারফু, হাদীসে মাওকুফ ও হাদীসে মাকতু-এর সংজ্ঞা ও হুকুম। সনদের বিশুদ্ধতার বিচারে হাদীসের প্রকারভেদ ও হুকুম । সিহাসিত্তাহ । সিহাসিত্তাহ ব্যতীত কয়েকটি প্রসিদ্ধ গ্রন্থ। ইমাম বুখারী (র)-এর জীবন ও অবদান । ইমাম মুসলিম (র)-এর জীবন ও অবদান । ইমাম নাসায়ী (র)-এর জীবন ও অবদান। ইমাম আবু দাউদ (র)-এর জীবন ও অবদান। ইমাম তিরমিযী (র)-এর জীবন অবদান । ইমাম ইবনে মাজাহ (র)-এর জীবন ও অবদান। জাল হাদীস-হাদীস নয়। জাল হাদীসের মর্যাদা । জাল হাদীসের বিভিন্ন স্তর। জাল হাদীস রচনার সূচনা কথা । জাল হাদীস রচনার উদ্দেশ্য। শিয়া সম্প্রদায়ের জাল হাদীস । হাদীস জালকরণে শী’আদের ভূমিকা। খ. খাওয়ারিজ ও জাল হাদীস । খারিজীরা কি জাল হাদীস রচনা করেছে? ২. যিন্দীক সম্প্রদায় ও জাল হাদীস। জাল হাদীস রচনায় যিন্দীকদের ভূমিকা । ৩. জাতি, গোত্র, ভাষা ও ইমাম প্রীতি ।
ইতিহাসবিদ আল্লামা গোলাম আহমাদ মোর্তজা: ইনি হলেন সেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মহান ব্যাক্তি গোলাম আহমদ মোর্তাজা যার বই এবং তাকরিরের মাধ্যমে মানুষ হাজারো ইতিহাস জানতে পেরেছে। গোলাম আহমাদ মোর্তজা জন্ম ভারতের পশ্চিমবঙ্গের'র বর্ধমান জেলার মেমারিতে। তিনি একজন বক্তা,গবেষক ও লেখক। তিনি দুই বাংলার অর্থাৎ ভারত বাংলাদেশের পাঠকদের কাছে সমানভাবে জনপ্রিয়। ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে যেমন পলাশীর যুদ্ধ,অন্ধকূপ হত্যাকান্ড, মহামতি আকবরের কথা এমনি অনেক নতুন তথ্য তিনি প্রমাণসহ পেশ করেন। যা আসলে আমরা যেভাবে জানি সেভাবে বলা হয়নি। তাঁর পুস্তক পাঠে বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলাচলে পড়ে যায় পাঠক, কিন্তু গোলাম আহমাদ মোর্তজা এমনভাবে তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করেছেন। তাতে তাকে মেনে নিতে হয়েছে ভারতের বর্তমান ঐতিহাসিকদের। বিখ্যাত ইতিহাসবিদরা তার তথ্য মেনে নিয়েছেন এবং প্রশংসা করেছেন। ইতিহাসের অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য দেন যা চাপা পরে ছিলো ইতিহাসের পাতায়। তিনি সেগুলোকে সামনে তুলে আনার চেষ্টা করেন। তাকে নিয়ে এ পর্যন্ত ভারতে অনেক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তিনি বক্তব্য দিয়ে থাকেন এবং পশ্চিমবঙ্গে তিনি "বক্তা সম্রাট' নামে পরিচিত। তিনি বিখ্যাত হয়েছেন তাঁর কয়েকটি ইতিহাসের বই ও ইতিহাস ভিত্তিক বিতর্কিত বক্তব্যের মাধ্যমে। ইতিহাসের ইতিহাস, চেপেরাখা ইতিহাস,বাজেয়াপ্ত ইতিহাস,পুস্তক সম্রাটসহ অনন্য ইতিহাসের বইয়ের মাধ্যমে তিনি সর্বপ্রথম আলোচনায় আসেন। ভারতের গতানুগতিক ইতিহাস বিষয়ক পাঠ্যপুস্তকগুলোতে মুসলিমদের নিয়ে লিখিত বিভিন্ন তথ্য তিনি বানোয়াট দাবী করেন। সেই তথ্যগুলোর বিরোধীতা করেন এবং সেগুলো মিথ্যা তথ্য তিনি প্রমাণসহকারে খণ্ডন করার চেষ্টা করেন এই গ্রন্থ গুলোতে। পাশাপাশি বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ,গান্ধীজি, রাজা রামমোহন রায়,হরপ্রসাদ শাস্ত্রী,দেবেন্দ্ররনাথ ঠাকুর সম্বন্ধে সমালোচনা করেন এবং তাদের চাপা পরা ইতিহাস সামনে তুলে এনে প্রমাণসহকারে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেন যার ফলে পশ্চিমবঙ্গের সরকার ১৯৮১ সালে তাঁর একটি গ্রন্থ বাজেয়াপ্ত করেন। এরপর তিনি একেরপর এক ইতিহাসের বই প্রকাশ করতে থাকেন,যার সিংহভাগ বই'ই সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের সরকার বাতিল করেন। তাঁর উপর সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ আনায় গোলাম আহমাদ মোর্তজা তাঁর "বাজেয়াপ্ত ইতিহাস" গ্রন্থে এর প্রতিবাদ করেন। আল্লাহ তায়ালা হযরতের নেক হায়াত দারাজ করেন এবং মানুষের সামনে বই আকারে হোক অথবা ওয়াজ, বক্তৃতা মাধ্যমে হোক সত্যকে উন্মেচন করার তৌফিক দান করুন।