কেন শুদ্ধ বলবো, কেন শুদ্ধ লিখবো! এমন বিস্ময় আমাদের জিজ্ঞাসায় ঝরার কথা নয়। কারণ আবরা সবাই না মানলেও জাতি, প্রকাশ শুদ্ধ হলে ব্যক্তির ও বিশ্বের কোন ক্ষতি নেই, কিন্তু প্রাপ্তি আছে দু’প্রান্তের। যিনি বলছেন ও যিতি শুনছেন, যিনি লিখছেন ও যিনি পড়ছেন। বইটির নাম এ কারণেই শুদ্ধ বলা শুদ্ধ লেখা। আমাদের খুব ভেবে বুঝতে হয় না যে শুদ্ধ বলা শুদ্ধ লেখার জন্য ভাবাটাই আসল। ভাবনায় যদি গলদ-গণ্ডগোল থাকে, গোল বড় তাড়াতাড়ি পাকে। তাই, শুদ্ধ আমরা বলবো এবং শুদ্ধ আমরা লিখবো-এই ভাবনার, কিংবা আরও জোরালো শব্দে বলা যায়-পণ-প্রতিজ্ঞার, একটা বীজতলা অন্তরমধ্যে তৈরী করার প্রণোদনা থেকেই কাজটি হাতে তুলে নেয়া। কোথাও না কোথাও কাউকে না কাউকে এমন অনাদৃত কাজওতো করতে হবে! সেজন্যই এ পথে পথচল।
ড. রণজিৎ বিশ্বাস লেখকভুবনে আবির্ভাব ১৯৭৩ সালে। প্রিয় বিষয় মুক্তিযুদ্ধ, মানুষ ও মানবতা নিয়ে প্রায় প্রতিদিন ঢাকা ও চট্টগ্রামের কাগজে প্রবন্ধ-নিবন্ধ, কলাম, রম্যরচনা ও ছোটগল্প এবং ক্রিকেটবিষয়ক প্রবিবেদন ছাপা হলেও মুদ্রিত গ্রন্থসংখ্যা খুব বেশি নয়। আমার প্রথম গল্প উনিশ (অসঙ্কোচ প্রকাশ, অসবর্ণ চার কোণে চারজন), ব্যবহারিক বাংলায় ভ্রমকণ্টক, শুদ্ধ লেখা শুদ্ধ বলা, ব্যবহারিক বাংলা : যত ভুল তত ফুল, ভাষার যত গোলকধাঁধা, গৌরব আমার গ্লানি আমার, মাতৃভূমির মালিকানা, কুড়িয়ে পাওয়া সংলাপ, রম্যকথার এক ঝাঁপি, গল্প গল্প মনে হয় গল্প কিন্তু মোটেই নয়, প্রতিদিনের পথের ধূলায় ও হৃৎকথনের রেণুকণা তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। বাংলা ও ইংরেজি ভাষার ব্যবহারিক শুদ্ধাশুদ্ধি নিয়ে রচনায় ও প্রশিক্ষণে দীর্ঘদিন ধরে তিনি তন্বিষ্ঠতায় শ্রমশীল। ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগদানকারী ড. রণজিৎ বিশ্বাস মুক্তিযুদ্ধের আদর্শবিরোধী শক্তি কর্তৃক উপর্যুপরি চারবার পদোন্নতি বঞ্চিত এক কর্মকর্তা। বর্তমানে তিনি সরকারের সচিব ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিযুক্ত। ড. রণজিৎ বিশ্বাস দু’সন্তানের জনক অভিষেক বিশ্বাস হীরা ও উপমা বিশ্বাস মুক্তা। তাদের জননী শেলী সেনগুপ্ত। একজন শিক্ষক ও গৃহকোণশিল্পী।