জর্ডানের নাম দেখলেই সর্বপ্রথম যে শব্দটি মাথায় আসে,সেটা হলো 'ডেড সি'। মনের কোণে ভেসে এসে এমন এক পানির রাজ্যের কথা যেখানে কেউ শত চেষ্টা করেও ডুবে থাকতে পারেন না। ঠিক সেই পানির রাজ্যের ভ্রমণ কাহিনী নিয়ে লেখকের এবারের বইটি রচিত হয়েছে।দীর্ঘ ভিসা জটিলতা কাটিয়ে উঠে জর্ডানের পথে যাত্রা লেখকসহ অন্যান্য সফরসঙ্গীদের।একে একে বিভিন্ন প্রসিদ্ধ শহর ঘুরে শেষে বহু আকাঙ্ক্ষিত ডেড সি'র তীরে পৌছানো। বর্নিত হয়েছে ৩৩৫ কিমি দীর্ঘ সিল্ক রোড সম্পর্কে,যে রাস্তাটি সম্পর্কে আলোচনা করা আছে ওল্ড টেস্টামেন্ট,বাইবেল এবং পবিত্র কোরআনে।অনেক পয়গম্বর এর পদধূলি এই রাস্তায় পড়েছে। কিংস ওয়ে প্রথম ওল্ড টেস্টামেন এবং বাইবেলে বর্ণিত আছে যে,হয়রত মুসা (আ) তার অনুসারীদের নিয়ে ইডমের প্রান্তর দিয়ে যফন উত্তরে গিয়েছিলেন তখন এই রাস্তাটি ব্যবহার করেছিলেন।খ্রীষ্টপূর্ব পাঁচহাজার বছর পূর্বের হয়রত ইব্রাহিম (আ) এর ভাতিজা লুত (আ) কে বন্দী করা হয় এখান থেকেই। এই রাস্তাটিতে এখনও লুত (আ) এর নানান চিহ্ন রয়েছে।গাইড জেরুজালেমের অবস্থান দেখিয়ে বর্ণনা করলেন এটিই গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা 'Church of Holy Sepulcher' এখানে হয়রত ইসা(আ) কে শূলে চড়িয়ে ছিলেন রোমানরা,মুসলিমদের বিশ্বাস তিনি আবার ফিরে আসবেন কিয়ামতের পূর্বে।লেখকের প্রতিটি ভ্রমণ কাহিনীর অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো,যতগুলো স্থানে তার যাত্রাপথে ভ্রমণ করেন সকল স্থানেরই পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে ইতিহাস তুলে ধরতে চেষ্টা করেন।যার মাধ্যমে আমরা অর্থাৎ পাঠকরা সম্মুখীন হই নতুন এক জগতের। কত অজানা জানা হয়ে যায় এর মাধ্যমেই।ইসলামের অসংখ্য মহাপুরুষদের বর্ণনাও রয়েছে বইটিতে যাদের সঙ্গে স্থানগুলোর যোগসাজশ ছিলো একসময়। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক হওয়া সত্বেও খুবই ভ্রমণপ্রিয় একজন মানুষ। তিনি ভ্রমণকালে ঐতিহাসিক স্থানগুলো ঘুরে আসেন এবং সেই স্থানগুলোর অখণ্ড ইতিহাস তাঁর লেখনীর মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলার চেষ্টা করেন যা তিনি এই বইতে তুলে ধরেছেন। জর্ডানের নাম দেখলেই সর্বপ্রথম যে শব্দটি মাথায় আসে,সেটা হলো 'ডেড সি'। মনের কোণে ভেসে এসে এমন এক পানির রাজ্যের কথা যেখানে কেউ শত চেষ্টা করেও ডুবে থাকতে পারেন না। ঠিক সেই পানির রাজ্যের ভ্রমণ কাহিনী নিয়ে লেখকের এবারের বইটি রচিত হয়েছে।দীর্ঘ ভিসা জটিলতা কাটিয়ে উঠে জর্ডানের পথে যাত্রা লেখকসহ অন্যান্য সফরসঙ্গীদের।একে একে বিভিন্ন প্রসিদ্ধ শহর ঘুরে শেষে বহুক আকাঙ্ক্ষিত ডেড সি'র তীরে পৌছানো।লেখকের প্রতিটি ভ্রমণ কাহিনীর অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো,যতগুলো স্থানে তার যাত্রাপথে ভ্রমণ করেন সকল স্থানেরই পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে ইতিহাস তুলে ধরতে চেষ্টা করেন।যার মাধ্যমে আমরা অর্থাৎ পাঠকরা সম্মুখীন হই নতুন এক জগতের। কত অজানা জানা হয়ে যায় এর মাধ্যমেই।ইসলামের অসংখ্য মহাপুরুষদের বর্ণনাও রয়েছে বইটিতে যাদের সঙ্গে স্থানগুলোর যোগসাজশ ছিলো একসময়।br ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক হওয়া সত্বেও খুবই ভ্রমণপ্রিয় একজন মানুষ। তিনি ভ্রমণকালে ঐতিহাসিক স্থানগুলো ঘুরে আসেন এবং সেই স্থানগুলোর অখণ্ড ইতিহাস তাঁর লেখনীর মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলার চেষ্টা করেন যা তিনি এই বইতে তুলে ধরেছেন।
১৯৪৮ সনের ১ ফেব্রুয়ারি বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৬ সনে তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন এবং দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রায় দু’বছর পাকিস্তানের বন্দি শিবিরে কাটিয়ে ১৯৭৩ সনে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন এবং ১৯৭৫ সনের ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় ৪৬ ব্রিগেডে স্টাফ অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ১৯৭৯-৮১ সনে ঢাকায় সেনাসদরে গুরুত্বপূর্ণ পদে অপারেশন ডাইরেক্টরেট নিয়োজিত হন। পরে তিনি ব্রিগেডের অধিনায়ক হিসেবে দুটি ইনফেনট্রি ব্রিগেড ও একটি আর্টিলারি ব্রিগেডের অধিনায়ক ছিলেন। লেখক বাংলাদেশের ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ কৃতিত্বের সাথে সম্পন্ন করে দ্বিতীয়বারের মত আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিখ্যাত ইউ এস এ কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ জেনারেল কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। তিনি পাকিস্তানের ন্যাশনাল ডিফেন্স এ ডি সি ইসলামাবাদ ইউনিভার্সিটির তত্ত্বাবধানে স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে মাস্টার্স এবং ২০১১ সনে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস্, ঢাকা থেকে এমফিল ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি দেশী-বিদেশী বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে নিরাপত্তা, ভূ-রাজনীতি এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষণধর্মী কলাম ও বইয়ের লেখক হিসেবে অধিক পরিচিত। এ পর্যন্ত তার তেইশটি বহুল পঠিত বই প্রকাশিত হয়েছে। তা ছাড়া দেশী-বিদেশী ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নিরাপত্তা ও ভূ-রাজনীতি এবং নির্বাচন বিষয়ে বিশ্লেষক হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত। ২০০৭ সনের ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১২ সনের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ বছর তিনি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার রয়েছে। ২০০৮ সনের জাতীয় এবং স্থানীয় সরকারের পাঁচ হাজারের বেশি নির্বাচন অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতা।
স্পষ্টবাদী হিসেবে পরিচিত তিনি একজন মিলিটারি এনালিস্ট, নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ, কলামিস্ট এবং নিয়মিত টক শো তে অংশগ্রহণ করেন। জুলাই অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয় এবং তিনি ১০ দিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। এরপর তিনি পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবেও কিছুদিন কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োজিত আছেন।