শতাব্দীর সেরা গোয়েন্দা রহস্য (হার্ডকভার)

গোয়েন্দা গল্প বা রহস্যোপন্যাস শিক্ষিত জনগোষ্ঠি প্রথম জীবনে পড়াশোনার ফাঁকফোকরে না পড়ে যে থাকতে পারেন নি একথা নিশ্চিত করে বলা যায়। আমার কিশোর জীবনে প্রচুর ডিটেকটিভ গল্পের বই পড়েছি। পড়তে বসে একটানা পড়ে শেষ করে ওঠেছি। ডিটেকটিভ গল্প পড়ার মধ্যে অদ্ভুত একটা আকর্ষণ আছে। এ আকর্ষণকে প্রথম বয়সে কোনোক্রমেই উপেক্ষা করা যায় না। আর এ অভ্যাস একবার গড়ে ওঠলে শেষ জীবন পর্যন্ত কোনো না কোনোভাবে অব্যাহত থাকে।

গোয়েন্দা কাহিনী খুবই জনপ্রিয়। অপরাধীকে ধীরে ধীরে নির্ভরযোগ্য তথ্যের মাধ্যমে সনাক্ত করাই গোয়েন্দা বাহিনীর বিষয়বস্তু। ডিটেকটিভ আর রহস্য কাহিনীর মধ্যে তেমন কোনো ফারাক নেই। রহস্যোপন্যাসে গোয়েন্দা গুপ্তসংবাদ গোপনে বের করে। গোয়েন্দার কূটকৌশল আর সুক্ষ্ম বিশ্লেষণ ক্ষমতা গোয়েন্দা কাহিনীতে অত্যন্ত চমৎকারভাবে বিবৃত হয়।

বাংলা ভাষায় লিখিত ডিটেকটিভ রহস্য ও গোয়েন্দা গল্পকাহিনী প্রথম দিকে ইংরেজি গোয়েন্দা কাহিনী অবলম্বনে রচিত হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনুবাদ, অনুসরণ বা অনুকরণে লিখিত হয়।

এডগার এলান পো সর্বপ্রথম আধুনিক ডিটেকটিভ গল্প লেখা শুরু করেন ১৮৪১ সালে। তাঁর প্রথম প্রকাশিত ডিটেকটিভ গল্প বইটির নাম 'মার্ডার ইন রূ মর্গ'। তারপর ইংরজি ভাষায় বহু স্বনামধন্য লেখক ডিটেকটিভ গল্প উপন্যাস লিখেছেন স্যার আর্থার কনান ডয়েল, অগার্থা ক্রিস্টিও তাঁদের মধ্যে অন্যতম