"প্রবালদ্বীপ, গোয়েন্দা টম সয়্যার, নভোচারী টম সয়্যার" বইয়ের ফ্ল্যাপের অংশ থেকে নেয়া: প্রবাল দ্বীপ/রবার্ট মাইকেল ব্যালেইন্টাইন:- জাহাজে শিক্ষানবিশী করতে বেরিয়েছিল ওরা তিনজন- জ্যাক মার্টিন, রালফ রােভার ও পিটারকিন গে। ঝড়ে জাহাজডুবি হলাে। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের এক নির্জন দ্বীপে গিয়ে উঠল ওরা। সঙ্গে খাবার নেই, অস্ত্র নেই, নেই বেঁচে থাকার জন্যে অতি প্রয়ােজনীয় নিত্য নৈমিত্তিক যন্ত্রপাতি। শুধু বুদ্ধি আর সাহসের জোরে টিকে গেল ওরা কোনওমতে। কিন্তু... শিগ্গিরই এল বিপদ... ভয়ঙ্কর জংলী মানুষখেকো মানুষ... জলদস্যু... গােয়েন্দা টম সয়্যার/মার্ক টোয়েন:- আরকানসতে আংকেল সিলাসের ফার্মে বেড়াতে এসেছে টম আর । তার বন্ধু হাকলবেরি ফিন। জড়িয়ে গেল এক চমকপ্রদ জটিল রহস্যে। হীরা চুরি আর খুনের কেস। অ্যাডভেঞ্চারের জন্যে তাে মুখিয়ে থাকে দু’জনে। হাতের কাছে পেয়ে আর কি ছাড়তে চায়? আংকেল সিলাসকে যখন খুনের দায়ে অভিযুক্ত করা হলাে, আর ঠেকানাে গেল না টমকে। প্রতিজ্ঞা করল, যে করেই হােক, মুক্ত করে আনবে আংকেলকে। নভােচারী টম সয়্যার/মার্ক টোয়েন:- পাগলা প্রফেসরের আকাশতরী দেখতে গিয়েই ফ্যাসাদে পড়ল টম, হাক এবং জিম। পা দেয়ামাত্রই আকাশে উঠে গেল ওটা। মাথাটা পুরােই খারাপ হয়ে গেছে প্রফেসরের। বললেন, দুনিয়া সফর করে এসে আকাশতরীটাকে ডুবিয়ে দেবেন মহাসাগরে। সেই সঙ্গে তিন অভিযাত্রীকেও ডুবিয়ে মারবেন। শুরু হলাে এক ভয়াবহ দুঃস্বপ্ন।
মার্ক টোয়েন জন্ম ৩০ নভেম্বর ১৮৩৫, আমেরিকার মিসৌরিতে | আসল নাম স্যামুয়েল ল্যাংহর্ন ক্লিমেন্স। বিশ্বব্যাপী মার্ক টোয়েন নামে পরিচিত। ১২ বছর বয়সে বাবা মারা যান। জীবিকা অর্জনের জন্য তাঁকে বেরিয়ে পড়তে হয়। আমেরিকার বিভিন্ন রাজ্য ঘুরে বেড়িয়েছেন। বড় হয়েছেন মিসিসিপি নদীর তীরে, এই নদীতে স্টিমবােটের পাইলট ছিলেন। অংশ নেন আমেরিকার গৃহযুদ্ধে। যুদ্ধের পর সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। টম সয়ীর প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিহিত হয় ক্ল্যাসিক হিসেবে। এর পরের খণ্ড দ্য অ্যাডভেঞ্চারস অব হাকলবেরি ফিন। মৃত্যু ১৯১০।