মোঃ আলতাফ হোসেন রচিত পরিবেশ ও মানবিক চেতনা বইটি আমাদের সমাজের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার, পরিবেশ সচেতনতা এবং মানবিক মূল্যবোধের উপর আলোকপাত করে। লেখক এই গ্রন্থে শ্রমিকদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি, তাদের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা এবং পরিবেশের প্রতি আমাদের দায়িত্ববোধ তুলে ধরেছেন।
📘 বইটির মূল বিষয়বস্তু:
শ্রমিকদের অধিকার ও অবহেলা: লেখক হোটেল শ্রমিক, ব্যাংক কর্মচারী, ক্ষেত মজুর, দিনমজুর ও গৃহকর্মীদের অতিরিক্ত শ্রমঘণ্টার জন্য ন্যায্য পারিশ্রমিক থেকে বঞ্চিত হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেছেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, হাদিসে বলা হয়েছে, "ঘাম শুকানোর পূর্বেই শ্রমিকের পারিশ্রমিক দিয়ে দাও", কিন্তু বাস্তবে তা অনেক সময় মানা হয় না ।
কৃষকের অবদান: বাংলাদেশের কৃষক শ্রেণী, যারা রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে ফসল ফলায়, তাদের অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে লেখক বলেন, তারা দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি
পরিবেশ সচেতনতা: বইটিতে পরিবেশ রক্ষা এবং মানবিক চেতনার বিকাশের গুরুত্বও আলোচনা করা হয়েছে। লেখক সমাজে সাম্য ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠার জন্য মে দিবসের আদর্শকে স্মরণ করিয়ে দেন ।
📚 বইটি সম্পর্কে আরও তথ্য:
প্রকাশক: জোনাকী প্রকাশনী
মূল্য: ৳৩০০ (কিছু অনলাইন স্টোরে ছাড়ে পাওয়া যায়)
বিষয়বস্তু: আত্মউন্নয়ন, পরিবেশ ও মানবিক চেতনা
এই বইটি সমাজের অবহেলিত শ্রমজীবী মানুষের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে সহায়ক হতে পারে এবং পরিবেশ ও মানবিক মূল্যবোধের প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারে।
মোঃ আলতাফ হোসেন, পেশায় শিক্ষক, সাংবাদিক কলামিস্ট । শিক্ষকতার পাশাপাশি পরিবেশ ও খেলাধুলা নিয়েও কাজ করেন তিনি । শুধু শিক্ষক হিসেবে তাঁকে আখ্যায়িত করলে ভুল হবে। তিনি একজন দক্ষ সংগঠকও । পরিবেশ ও খেলাধুলা ছাড়াও তিনি সামাজিক সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মকান্ডে অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন । স্কুল জীবনে খেলাধুলায় চ্যাম্পিয়নশীপ অর্জনের মাধ্যমে তিনি হন একজন শ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদ । বি.এ. পাশের পর তিনি বি.পি.এড. কোর্স সম্পন্ন করেন শারীরিক শিক্ষা কলেজ ঢাকা থেকে, ১৯৯৩-৯৪ সালে ৷ একই বছরে শুরু হয় তাঁর কর্মজীবন, শিক্ষকতা দিয়ে হাসনাবাদ কামুচানশাহ উচ্চ বিদ্যালয় কেরাণীগঞ্জে । প্রায় দু'বছর কর্মতৎপরতার মধ্যে দিয়ে একই পদে তিনি ১৯৯৬ সালে নিয়োগ পেয়ে যোগদান করেন ঐতিহ্যবাহী জিনজিরা পী.এম.পাইলট স্কুল এন্ড কলেজে । ২০০৬ সালে তাঁর প্রথম প্রকাশিত বই 'A book of Golden Touch Quotations' বাংলাদেশে প্রথম বাণী-চিন্তনীর বাংলা-ইংরেজী একসঙ্গে লিপিবদ্ধ করেন তিনি । জাতীয় পর্যায়ে ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য স্বদেশ সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলার শ্রেষ্ঠ ক্রীড়া শিক্ষক হিসেবে সম্মাননা পদক- ২০১৩ লাভ করেন। ২০১৩ সালে শারীরিক শিক্ষাবিদ সমিতির কেরাণীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি পদে তাকে নির্বাচিত করা হয় । পরিবেশ রক্ষা ও দূষণ প্রতিরোধে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে এবং জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় সাংবাদিকতা ও কলাম লেখায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ একাধিক সম্মাননা পদক লাভ বিভিন্ন সংগঠন থেকে ।