
User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে আমার সায়েন্স ফিকশন লেখার প্রতি বরাবরই একটা দুর্বলতা আছে। আবার আমি সবসময়ই তরুণ লেখকদের লেখা পড়ার চেষ্টা করি। তাই যখন দুজন তরুণ লেখক মামুন ম. আজিজ ও তাহমিদুর রহমানের লেখা সায়েন্স ফিকশন গল্পের সংকলন ‘কল্প এবং...’ হাতে পেলাম তখন দেরি না করে পড়তে শুরু করলাম। ‘কল্প এবং...’ বইটিতে মামুন ম. আজিজের লেখা দুটি সায়েন্স ফিকশন ছোটগল্প ‘ট-নি-নি’ এবং ‘টিপ’ স্থান পেয়েছে। ‘টিপ’ গল্পটিতে ২১৩৩ সালের কথা বলা হয়েছে। যেখানে দেখানো হয়েছে পৃথিবী প্রায় সব ধরনের যুদ্ধ-বিগ্রহ কাটিয়ে উঠেছে। পৃথিবীর সব দেশের মধ্যে একটা মোটামুটি শান্তির পরিবেশ বিরাজ করছে। পৃথিবীর সব দেশ দল মত নির্বিশেষে ‘ইউনিয়ন অফ পিস এন্ড সায়েন্টিফিক কন্ট্রোল’ বা সংক্ষেপে ইউওপাস নামে একটা সংগঠন গড়ে তুলেছে যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে পৃথিবীতে শান্তি বজায় রেখে বিজ্ঞানের উন্নতি সাধনে কাজ করে যাওয়া। কিন্তু এ সময় একটা নতুন উপদ্রব দেখা দেয়। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে হঠাৎ হঠাৎ অগ্নিবৃষ্টি, পাথরবৃষ্টি বা ভয়ংকর শব্দের সমস্যা হতে থাকে। বিজ্ঞানীরা বের করে এ সকল সমস্যার পিছনে আছে ভিনগ্রহী এলিয়েনরা। আর তাদের তথ্য দিয়ে সাহায্য করছে পৃথিবীরই কিছু বিশ্বাসঘাতক মানুষ। কারা এই কাজটি করছে সে রহস্য বের করার জন্যে ইউওপাসের পক্ষ থেকে একটা অনুসন্ধানী দলকে মহাকাশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। এই দলে একজন বাঙালি সাইকোলোজিস্ট আছে যার নাম ড. রাদ। তার স্ত্রীর আবার খুব টিপ পড়ার শখ। যত ব্যস্ততাই থাক না কেন সে কখনও টিপ পড়তে ভোলে না। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হল এই অভিযানে যাওয়ার জন্যে ড. রাদকে বিদায় জানাতে আসার সময় তার স্ত্রী টিপ পড়লো না। আবার কিছু অস্বাভাবিক, রোবটসুলভ আচরণ করলো। আর সেটা দেখেই ড. রাদ বের করে ফেললেন সমস্যার সমাধান। কারা এলিয়েনদের কাছে তথ্য পাঠাচ্ছে তাও বুঝে গেলেন। কীভাবে? তা জানার জন্যে পাঠককে এই অসাধারণ সায়েন্স ফিকশন ছোটগল্প ‘টিপ’ পড়তে হবে। ‘কল্প এবং...’ বইটিতে তাহমিদুর রহমানের ছয়টি সায়েন্স ফিকশন ছোটগল্প স্থান পেয়েছে। তার মধ্যে প্রথম গল্পটির নাম ‘কক্ষপথ’। ২০৪৪ সালে এক বিজ্ঞানী অনুমান করেছিলেন একসময় পৃথিবীর কক্ষপথে পৃথিবীর অনুরূপ একটা গ্রহ এসে পড়বে এবং সেই গ্রহে মানুষের মতই কিছু প্রাণী থাকবে। তখন তার কথা সবাই হেসে উড়িয়ে দেয়। কিন্তু এই ঘটনার বহু পরে একটা মহাকাশযানের অধিনায়ক মিয়াজুল সেই বিজ্ঞানীর কথার সত্যতা বুঝতে পারে। সে মহাকাশযানের হলোগ্রাফিক স্ক্রিনে দেখতে পায় পৃথিবীর অনুরূপ আরেকটি গ্রহ ক্রমেই পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে। এই ভাবে চলতে থাকে এই পৃথিবীর অনুরূপ গ্রহটির সাথে চার দিন পরেই পৃথিবীর তুমুল সংঘর্ষ হবে। তখন সে তার মহাকাশযানের বাকি পাঁচ জন সদস্যকে নিয়ে মিটিংয়ে বসে। কিন্তু কেউ কোন সমাধান দিতে পারে না। এমন সময় ম্যাগনেটিক ফিল্ড ব্যবহার করে এই সমস্যা থেকে উত্তরণের একটা উপায় মিয়াজুলের মাথায় আসে। শেষ পর্যন্ত কি মিয়াজুল সফল হতে পেরেছিলো কি না, তা জানার জন্যে পাঠককে ‘কক্ষপথ’ গল্পটি পড়তে হবে। দুই জন উদীয়মান লেখকের লেখা সায়েন্স ফিকশন গল্পের সংকলন ‘কল্প এবং...’ বইটি সবারই ভালো লাগবে আশা করি। আমার ব্যক্তিগতভাবে বইটি খুব ভালো লেগেছে।




