-----ঘাসেদের ফাগুন প্রতিটি নারীর জীবনের পরিপূর্ণ অথবা খণ্ড চিত্র। যেখানে পুরুষ শাসিত সমাজ ও পরিবারে একজন নারীর প্রকৃত মানুষ জীবন যাপনের এক অদম্য মূলমন্ত্র গেঁথে দেয়া হয়েছে উপন্যাসের প্রতি পদে। ------এক একজন নারীর মানুষ অধিকারে বেঁচে থাকার সম্মানজনক অবস্থান প্রতিষ্ঠার মাইলফলক ঘাসেদের ফাগুন। -----ঘাসেদের ফাগুন পিতার সম্মান রক্ষাকারী এক কন্যার জীবনের কঠিন দায়বদ্ধতা। -------ঘাসেদের ফাগুন একজন স্ত্রীর সম্মান, অধিকার এবং অবস্থান বিনির্মাণে দাম্পত্যের হার জিতের পরিপূর্ণ উপাখ্যান। -----ঘাসেদের ফাগুন পরের বাড়ি হিসেবে শ্বশুর বাড়িতে নিজস্ব সাহস, যোগ্যতা এবং অহম আভিজাত্যে টিকে থাকা এক নারীর বিদগ্ধ সংগ্রামের ইতিবৃত্ত। -------- ঘাসেদের ফাগুন পরাজিত হতে হতে বিজয়ের নিমিত্ত নির্মাণে সন্তানদের সফলতা প্রমাণে একজন সফল মায়ের আত্মসম্মান প্রতিষ্ঠার নিরবচ্ছিন্ন সফল প্রয়াস। ------ঘাসেদের ফাগুন ধর্মান্ধতার বিপরীতে প্রকৃত ধর্ম বিশ্বাসের নজির প্রতিষ্ঠার পথনির্দেশ। -------ঘাসেদের ফাগুন প্রকৃত মানুষ জন্মে টিকে থাকার লড়াইয়ে একজন সাহসী নারীর ধৈর্য, সহন, প্রজ্ঞা, আত্মবিশ্বাস, কৌশল ও দূরদর্শিতার অক্লান্ত এক প্রয়াস। -------ঘাসেদের ফাগুন নারী জীবনের ঘাতপ্রতিঘাতের বাতাবরণে পৌরুষের একক আধিপত্য বিস্তার প্রতিরোধে পুরুষকে প্রকৃত মানুষ বোধে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার এক কার্যকর প্রয়াস।
একজন কন্যা, স্ত্রী, মা এবং সর্বপরি একজন নারী হিসেবে কতখানি সফল হয়েছিল এই প্রচেষ্টায় উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্রটি? হাজার কোটি বছরের সামাজিক, ধর্মীয় এবং মানবিক বিশ্বাস ও অবস্থানকে পরিবর্ধন করে কতিপয় পুরুষকে কতখানি মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পেরেছিল ঘাসেদের ফাগুন উপন্যাসের প্রধান নারী চরিত্র ইলোরা রাশেদ? জানতে পড়ুন ঘাসেদের ফাগুন। পড়ুন চিরায়ত নারী জীবনের বিদগ্ধ সংগ্রাম ও শেকল ভাঙ্গার গান সমৃদ্ধ উপন্যাস ঘাসেদের ফাগুন। উপন্যাসটিতে রয়েছে নারী পুরুষ উভয়ের জন্য প্রকৃত জীবনবোধের এক অনন্য উপলব্ধি, পর্যবেক্ষণ এবং সফল প্রয়োগ। ঘাসেদের ফাগুন নেহায়েত কোনো গল্প নয়। নারী পুরুষের পরিপূর্ণ জীবন ও পরিবারের সফল রূপায়ণ। সফল জীবন গঠনে পড়ুন ঘাসেদের ফাগুন।
জনরাঃ সামাজিক ও পারিবারিক সমৃদ্ধ জীবন গঠন এবং যাপনের শিক্ষামূলক উপন্যাস।
লেখক নাজনীন নাহার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমফিল করেছেন এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এলএলবি করেছেন। স্বামী সন্তান নিয়ে তার সংসার। ইতোমধ্যে তার লেখা বিভিন্ন জনরার ৪২টি একক মৌলিক বই প্রকাশিত হয়েছে। একজন সৃষ্টিশীল মানুষ তিনি। তার লেখার মূল উপজীব্য হচ্ছে মানুষ, প্রেম, দেশাত্মবোধ, মনুষ্যত্ব এবং মানবতা। তিনি নিভৃতচারী একজন মানুষ। সংসারের পাশাপাশি নিজেকে ডুবিয়ে রাখেন সাহিত্য চর্চায়। তাইতো নিজেকে নয় নিজের লেখা, বোধ, উপলব্ধি তথা নিজের সৃষ্টিকে পুরোদস্তুর সমৃদ্ধ করতে চান তিনি। পৌঁছে দিতে চান মানুষের মন ও মগজের ভাবনায়। মানুষের আত্মউপলব্ধিতে রোপণ করতে চান বিশুদ্ধ বোধের অখণ্ড সন্তরণ। লেখার মাধ্যমে তিনি মানুষের কল্যাণ করতে চান। মানুষের মনন ও বিশ্বাসের পৃথিবীতে মানবিকতার বিশুদ্ধ বোধ ছড়িয়ে দিতে চান। তার লেখালেখির উদ্দেশ্য এটাই।