মানবজাতির হেদায়াতের ঐশীগ্রন্থ আল কোরআনের আদেশ নিষেধ সম্পর্কে জানার জন্য ‘আল-কোরআনের ১০০০ আদেশ নিষেধ ’ এক অনবদ্য রেফারেন্স বুক। মহান আল্লাহ নির্ধারিত বিধি নিষেধ জেনে আমল করতে অত্যন্ত সহায়ক হবে এই বইটি। ইসলাম মেনে চলার সর্বপ্রথম কাজ হলো ইলম বা জ্ঞানার্জন। সেই জ্ঞানার্জনের কাজটি সহজ করার জন্য কোরআনের বিষয়ভিত্তিক নির্দেশনাকে বিভিন্ন আয়াতের রেফারেন্সসহ উল্লেখ করা হয়েছে। এতে পাঠকের চাহিদা পূরণে অনেকখানি কাজে লাগবে বলে বিশ্বাস করি। ইসলাম সম্পর্কে বহু মানুষের বিভ্রান্তি আছে অজ্ঞতার কারণে। অজ্ঞতা নিরসণে ব্যাপক অধ্যয়ন জরুরি। কোরআন নির্দেশিত সঠিক জ্ঞানই কেবল মুক্তির দুয়ার খুলে দিতে পারে।
আল কোরআনেই বলা হয়েছে- ‘যারা জানে আর যারা জানে না তারা সমান হতে পারে না।’ এ ছাড়া বলা হয়েছে তোমাদের মধ্যে তাহারাই শ্রেষ্ঠ যারা নিজে কোরআন শিক্ষা করে ও অন্যকে শিক্ষা দেয়। এই উদ্দেশ্য সাধনে বইটি সহায়ক হবে তা বলাই বাহুল্য। কোরআনের বিষয় ভিত্তিক তথ্য বাজারে খুব একটা পাওয়া যায় না। ফলে সাধারণ মানুষের পক্ষে বিষয়গুলো অনুধাবন করা কষ্টসাধ্য বৈকি। সেই বিষয়টি সামনে রেখেই বইয়ের লেখক কাজী সাঈদ অনেক শ্রম দিয়ে বইটি লিখেছেন। এটি রীতিমতো গবেষণার ফসল। কোরআনের ওপর যথেষ্ট দখল না থাকলে এ ধরণের বই রচনা সম্ভব নয়। বইটি দ্বারা সাধারণ মুসলমান ছাড়াও ইমাম খতীব ও ইসলামী বক্তারাও উপকৃত হবেন। দ্বীনের প্রচারে বইটি অনন্য ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করি।
আধুনিক ও ঝকঝকে ছাপা, অপূর্ব বর্ণবিন্যাস ও সুন্দর প্রচ্ছদে বইটি প্রকাশ করেছে ‘সরলরেখা প্রকাশনা সংস্থা’। প্রচ্ছদ এঁকেছেন বিশিষ্ট ক্যালিগ্রাফি শিল্পী আরিফুর রহমান। বইয়ের মূল্য ৩৬০ টাকা। বইটি থেকে উপার্জিত অর্থ মানবতার কল্যাণে ব্যয় হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তাই বইটি ব্যাপক প্রচার কামনা করি। মহান আল্লাহ আমাদের সকলের নেক উদ্দেশ্য পূরণ করুন। আমিন।
ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুরের সম্ভ্রান্ত কাজী পরিবারে জন্ম ১৯৫৮ সালে। বাবা মরহুম কাজী সাইদুর রহমান, মা মরহুমা আশরাফেন্নেছা বেগম।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা রাঙ্গামাটির কাপ্তাইতে কেটেছে শৈশব এবং কৈশোর। কর্ণফুলী প্রজেক্ট হাইস্কুল, ফেনী কলেজ, তেজগাঁও কলেজ, জগন্নাথ কলেজ থেকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজী সাহিত্যে মাস্টার্স। লেখালেখির হাতেখড়ি স্কুল জীবন থেকেই। পরবর্তীতে দেশের জাতীয় দৈনিকের কলামিস্ট।
মাসিক, সাপ্তাহিক এবং দেশী-বিদেশী অনলাইন পত্রিকায় প্রচুর লেখালেখি।
দেশের একাধিক সনামধ্য বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বপূর্ণ পদে চাকুরী। প্রায় সাড়ে তের বছর প্রবাস জীবন।
বহুজাতিক বৃটিশ কোম্পানির মক্কা শাখার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকার সুবাদে প্রায় সাড়ে সাত বছর কেটেছে বায়তুল্লাহর হুদুদ এলাকায়। একাধিকবার হজ্বব্রত এবং উমরাহ পালন। জীবনের সূবর্ণ এবং অর্থবহ সময়গুলো কেটেছে তখনি। প্রায় ২৯ বছর দাম্পত্য জীবনের পর স্ত্রী বিয়োগ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। দুই কন্যা সন্তানের জনক, উভয়েই সুশিক্ষিতা। বড় মেয়ে কাজী মুমতাহানা সাইদ ঢাকায় এবং কনিষ্ঠ কন্যা কাজী তাসমিয়া আমরীন স্বামীসহ স্থায়ীভাবে আমেরিকা প্রবাসী, সেখানকার নাগরিক। নিঃসঙ্গ একাকিত্বকে সঙ্গী করে লেখক এখন স্বেচ্ছা অবসরে ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাসরত।