Saralrekha Prokasan

সরলরেখা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক ট্রেডমার্ক করা একটি নিবন্ধিত প্রকাশনা সংস্থা। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশনা ও বিক্রয় সমিতি [বাপুস]-এর সদস্য। সরলরেখা প্রকাশনা সংস্থা ২০২০ সালে বাংলা একাডেমি আয়োজিত, অমর একুশে বইমেলা ও চট্টগ্রাম বইমেলায় অংশগ্রহণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। প্রথম বছর সরলরেখা ১০০+ শিরোনামের বই প্রকাশ করে। বইমেলা শেষে করোনা মহামারির কারণে লকডাউন শুরু হলে; বইয়ের বাজারজাত প্রক্রিয়া চরমভাবে ব্যহৃত হয়। লকডাউন পরবর্তী বইমেলাগুলোতে সরলরেখা ধারাবাহিকভাবে অংশগ্রহণ করার মধ্য দিয়ে এবার ২০২৫ সালের বইমেলায়ও ৬ষ্ঠ বারের মতো অংশগ্রহণ করেছে। এ পর্যন্ত সরলরেখা সৃজনশীল ও মননশীল ৩০০+ লেখক/ সম্পাদক/ অনুবাদকের প্রায় ৫০০+ আইটেমের সাহিত্যের বই প্রকাশ করেছে। কাগজের মুদ্রিত বইয়ের পাশাপাশি সরলরেখা ডিজিটাল বুক, ইবুক ও অন্যান্য ফরমেটের প্রকাশনার জগতেও কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এরই পাশাপাশি সরলরেখা পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষামূলক বই প্রকাশ ও বাজারজাত করণের উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে। সেই সাথে সরলরেখার বইয়ের পাঠকপ্রিয়তা অর্জন, বাণিজ্যিক প্রসার ও বিপননের স্বার্থে ‘সরলরেখা বুক ক্যাফে’ স্থাপন ও ‘শিক্ষাউপকরণের স্টেশনারি চেইনশপ’ করার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রয়েছে। সরলরেখার অর্জন বাংলা প্রকাশনা শিল্পে সরলরেখা অতি স্বল্প সময়ে একটি ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরি করেছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক গেজেটভূক্ত ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রেশন সনদ লাভ। বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশনা ও বিক্রয় সমিতি [বাপুস]-এর সদস্যপদ লাভ। ট্রেড লাইসেন্স দ্বারা পরিচালিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান; যার ব্রাক ব্যাংক ও ডাচ-বাংলা ব্যাংকে নিজস্ব একাউন্ট রয়েছে। এ পর্যন্ত ৩০০ এর অধিক লেখক, সম্পাদক ও অনুবাদকের বই প্রকাশ। যার মধ্যে বাংলাদেশ ও দেশের বাহিরের প্রতিথযশা লেখকসহ উদীয়মান ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বগণ রয়েছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ এর অধিক আইটেমের বই প্রকাশিত হয়েছে, যা চলমান প্রক্রিয়া। সরলরেখার রয়েছে নিজস্ব ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেজ। নিজস্ব শোরুম ছাড়াও বাংলাদেশ ও দেশের বাইরে প্রায় ২০০ এর অধিক আউটলেটে বই বিক্রয়ের ব্যবস্থা আছে। রাজধানী ঢাকা শহরের ৩৪টি বই বিক্রয় কেন্দ্র ও দোকানে সরলরেখার বই পাওয়া যায়। প্রতিটি বইয়ের আইএসবিএন বিদ্যমান। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বই কপিরাইট করা অথবা প্রক্রিয়াধীন। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ লেখক রয়্যালটি প্রদান করেছে এবং করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। দেশের খ্যতনামা ডিজাইনারসহ প্রায় ৩০ জন অঙ্কণশিল্পী সরলরেখার বিভিন্ন বইয়ের প্রচ্ছদ ও অলঙ্করণ করেছেন। বাংলা একাডেমির বইমেলার মোড়ক উম্মোচন ছাড়াও সরলরেখা কবিতা ক্যাফে, বিশ সাহিত্যকেন্দ্রসহ অনেকগুলো সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনে প্রকাশনা উৎসব, পুরস্কার প্রদানসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সরলরেখা কবি-সাহিত্যিক ও বইয়ের উপর কয়েকটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছে। এছাড়া অনেক বইয়ের রিভিউ ভিডিও করেছে, যা ইউটিউব ফেসবুকে পাবলিশ হয়েছে। সরলরেখার কোন কোন টিভিসি বা বইয়ের এ্যড ৩ মিলিয়নেরও অধিক ভিউ হয়েছে। আমাজান, রকমারিসহ সরলরেখা অনেকগুলো ই-কমার্স প্লাটফরমের সাথে যৌথভাবে কাজ করছে। এছাড়াও পাঠাও ও স্টিডফাস্ট কুরিয়ারে নিজস্ব মার্চেন্ট আইডি থেকে ক্যাশ অন হোম ডেলিভারির মাধ্যমে বই পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ পর্যন্ত ১০ হাজারের অধিক গ্রাহক সরলরেখার বই ক্রয় করেছে। সরকারি-বেসরকারি অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান, পাঠাগার ও কেন্দ্র সরলরেখার বই ক্রয় করেছে। বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর ৫টির অধিক প্রেস ও বাঁধাইখানা হতে সরলরেখার বই মুদ্রণ সম্পন্ন হয়। বইয়ের গুণগত উৎকর্ষের জন্য সরলরেখা প্রতিটি বইয়ের কম্পোজ, প্রুফিং ও এডিটিং-এর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সরলরেখা প্রকাশনা শিল্পে অবদান রাখার মতো একদল দক্ষ জনবল তৈরি করেছে, যাদের জীবিকা নির্বাহের একটি পথ সরলরেখার মাধ্যমে উম্মোচিত হয়েছে। সামাজিক দায়বদ্ধতা ও পাঠক সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সরলরেখা বিভিন্ন সময় বিনামূল্যে বা ফ্রি বই বিতরণ করেছে। তম্মধ্যে আল কুরআনের সরল বাংলা অনুবাদ অন্যতম। এ পর্যন্ত সরলরেখার উৎপাদিত বইয়ের সংখ্যা ৩ লক্ষ কপিরও অধিক।