সারসংক্ষেপ আইন হলো মানুষের জীবনকে সুখী, সমৃদ্ধ ও প্রগতিশীল করার বিধি-বিধান আইন। বর্তমান বিশ্ব মানবতার সামনে দুই ধরনের আইন আছে- মানব রচিত আইন ও কুরআনের আইন। আর ২/১টি বাদে পৃথিবীর সকল দেশে মানব রচিত আইন চালু আছে। ঐ ২/১টি দেশেও কুরআনের আইন আংশিকভাবে চালু আছে। কোনো দেশে একটি আইন চালু হতে বা থাকতে পারে শুধু তখনই, যখন অধিকাংশ মানুষ ঐ আইন চালু করা বা চালু রাখার পক্ষে সক্রিয় বা নিষ্ক্রিয় ভূমিকা রাখে বা পালন করে। তাই নিশ্চিতভাবে বলা যায়- বর্তমান বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ মেনে নিয়েছে যে, মানব রচিত আইন তাদের জীবনকে শান্তিময় করতে সক্ষম। পুস্তিকাটিতে Common sense-এর ২০টি মানদ-ের ভিত্তিতে মানব রচিত আইন ও কুরআনের আইনকে যাচাই করা হয়েছে। এ যাচাইয়ের ফলাফল দেখলে যেকোনো Common sense সম্মত মানুষ অতি সহজে জানতে ও বুঝতে পারবে যে- যৌক্তিকতা ও কল্যাণের দৃষ্টিকোণ থেকে মানব রচিত আইন কুরআনের আইনের ধারে-কাছেও যেতে পারে না। তাই, পৃথিবীর সকল নিষ্ঠাবান মুসলিম, যারা চান তাদের দেশ বা সমস্ত পৃথিবীতে কুরআনের আইন চালু হোক এবং সারা পৃথিবীর মানুষ সার্বিক শান্তিতে জীবনযাপন করুক, তাদের দায়িত্ব হবে ঐ তথ্যগুলো যত দ্রুত সম্ভব সকল মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। কারণ, Common sense-ধারী যারাই ঐ তথ্যগুলো জানতে পারবে, তাদের মধ্যে অধিকাংশই কুরআনের আইনের যৌক্তিকতা ও কল্যাণময়িতা মানতে বাধ্য হবে। আর এদের মধ্যে যারা সমাজের সার্বিক শান্তি কামনা করে তাদের অনেকেই কুরআনের আইন সমাজে চালু করতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এগিয়ে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।
Title
গবেষণা সিরিজ - ১১ : যুক্তিসংগত ও কল্যাণকর আইন কোনটি এবং কেন?
অধ্যাপক ডাঃ মতিয়ার রহমান একজন কিডনী রোগ বিশেষজ্ঞ। বর্তমানে তিনি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান, ইনসাফ বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, দি বারাকাহ ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান এবং কোরআন রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।