Sort

Reset Sort

Filter

Reset Filter

By Categories

By Publishers

Price

Languages

Discount

Ratings

Dr. Abdul Jabbar Mia books

follower

ড. আবদুল জব্বার মিয়া

ড. আব্দুল জব্বার মিয়া তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পূর্ববঙ্গে, ঢাকা জেলার অধীনস্থ লৌহজং থানার বারাইগাঁও গ্রামে (বর্তমানে মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার আটপাড়া ইউনিয়নের বারাইগাঁও গ্রাম) জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লৌহজং উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৪৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মেট্রিকুলেশন সম্পন্ন করেন। এরপর ১৯৪৮ সালে মুন্সীগঞ্জের হরগঙ্গা কলেজ থেকে তিনি ইন্টারমিডিয়েট অফ সাইন্স (আইএসসি) সম্পন্ন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১৯৫০ সালে বিএসসি এবং ১৯৫২ সালে এমএসসি সম্পন্ন করেন। ১৯৫৪ সালে তিনি ঢাকার তেজগাঁয় অবস্থিত পাট গবেষণা কেন্দ্রে সহকারি গবেষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৫৬ সালে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসে লুইজিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটি, ব্যটন রাফ এ স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী হিসেবে ভর্তি হন। সেখানে একটি সেমিস্টার সম্পন্ন করে তিনি তার স্নাতকোত্তর শিক্ষা চালিয়ে যেতে ১৯৫৭ সালে নর্থ ক্যারোলিনা স্টেট ইউনিভার্সিটি, রেলিফ এ ভর্তি হন যেখানে তিনি ১৯৫৯ সালে উদ্ভিদবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি ঢাকায় ফিরে পাট গবেষণা কেন্দ্রে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৬১ সালে ড. মিয়া পুনরায় যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসেন এবং টেক্সাসের ডালাসে অবস্থিত বিশপ কলেজে উদ্ভিদবিজ্ঞান ও প্রাণিবিজ্ঞান বিষয়ে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬৪ সালে ড. মিয়া কানাডার আটোয়ায় ওন্টারিওতে অবস্থিত চার্লটন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ ও সেল বায়োলজি প্রযুক্তি ব্যবহার করে সর্পগন্ধা উদ্ভিদের ওপর গবেষণার জন্য "পোস্টডক্টরাল রিসার্চ ফেলোশিপ অব দ্য ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিল (এনআরসি) অফ কানাডা" সম্মাননা অর্জন করেন। ১৯৬৬ সালে তিনি কানাডা সরকারের পরিবেশ বিজ্ঞানের অধীনস্থ 'অটোয়া বনজ পণ্য গবেষণালয়ে' সিনিয়র রিসার্চ সায়েন্টিস্ট হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালে ড. মিয়া পুনরায় বিশপ কলেজে শিক্ষকতায় ফিরে আসেন। ১৯৮৮ সালে তিনি টেক্সাসের হকিন্সে অবস্থিত জারভিস ক্রিস্টিয়ান কলেজে জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক এবং গণিত ও বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগদান করেন। ড. মিয়া প্রফেসর ড. ইরিওর সাথে যৌথভাবে বায়ো-মেডিসিনের উপর গবেষণা পরিচালনা করেন। ড. ইরিও একজন ফার্মাকোলজির অধ্যাপক এবং তৎকালীন টেক্সাসের ফোর্ট ওয়ার্থে অবস্থিত নর্থ টেক্সাস হেলথ সায়েন্স সেন্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় বিশ বছর ধরে প্রভোস্ট ছিলেন। এছাড়াও ড. ইরিও সেনাবাহিনী বিভাগ (ডিওডি) থেকে গবেষণার জন্য অনুদান প্রাপ্ত হন এবং পিয়ার পর্যালোচনাকৃত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে তার অনেক বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্রের প্রকাশিত হয়। ড. মিয়া ফোর্ট ওয়ার্থে ইউএনটিএইচএসসি-তে অ্যাডজান্ট ফ্যাকাল্টি পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। প্রধান গবেষক হিসাবে, ড. মিয়া ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ (এনআইএইচ), সেনাবাহিনী বিভাগ (ডিওডি), শিক্ষা বিভাগ, ডিপার্টমেন্ট অফ ভেটেরান অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন (এনএসএফ) বায়ো-মেডিসিনের উপর গবেষণা পরিচালনার জন্য একাই প্রায় তিন মিলিয়ন ডলারের অনুদান লাভ করেন। তিনি প্রায় ৫০ টি পূর্ণ দৈর্ঘ্যের বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র এবং প্রায় ৭৫ টি বিমূর্ত গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছিলেন যাতে ৫০০ টিরও বেশি আলো এবং ইলেক্ট্রন মাইক্রোগ্রাফ রয়েছে। তিনি তার অনুদান থেকে সম্পূর্ণ আর্থিক সহায়তায় প্রায় পঞ্চাশজন স্নাতক ছাত্র এবং পাঁচজন পোস্টডক্টরাল রিসার্চ অ্যাসোসিয়েটকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। ড. মিয়া বিশ্বের ১০০ টিরও বেশি শহরে ভ্রমণ করেছেন এবং তার বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেছেন। তিনি আমেরিকান মেন অ্যান্ড উইমেন অফ সায়েন্স, ১৯৭২-এ তালিকাভুক্ত ছিলেন। এছাড়াও 'হুজ হু ইন আমেরিকা: ১৯৭৬, মেন অফ অ্যাচিভমেন্ট: ১৯৭৬, কেমব্রিজ, ইংল্যান্ড এ তিনি তালিকাভুক্ত ছিলেন। তিনি ক্যানভাসে ৩০০ টিরও বেশি তৈলচিত্র এঁকেছেন। তার আঁকা কিছু ছবি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, পর্তুগাল, দ্য আইল্যান্ডস অব ম্যান, ইংল্যান্ড এবং বাংলাদেশে সংরক্ষিত রয়েছে। ২০০৩ সালে, তিনি তার শিক্ষা জীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ডালাস শহরে বসবাস করেন। তার সাথে তার সহধর্মিনী ভার্জিনিয়া এন. মিয়া এবং একটি বাংলা অঞ্চলের জাতভুক্ত বিড়াল থাকে। বিড়ালটির নাম পুকি।

ড. আবদুল জব্বার মিয়া এর বই সমূহ

(Showing 1 to 1 of 1 items)

Recently Viewed